লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও ভোলায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন।
“স্টাফ রিপোর্টার মোঃ রাকিব”
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও ভোলায় প্রশাসনের শক্ত অবস্থান ছিল চোখে পড়ার মতো।
লকডাউনের মধ্যে রাস্তাঘাটে মানুষ বের হলেই আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে সরেজমিন ঘুরে ভোলা শহরের ব্যস্ততম সড়ক ও মোড় গুলোতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। ভোর থেকে দৈনন্দিন কাজে মানুষ বের হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের চলাচল কমে যায়।
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন প্রতিপালনে সকাল থেকেই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ৫টি টিম শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে। মাঠে রয়েছে র্যাব, থানা, ডিবি ও ট্রাফিক পুলিশ।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা এবং সড়কগুলোতে নৌবাহিনীর কয়েকটি টিম টহল দিচ্ছে।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা রিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে জানতে চাচ্ছেন কে কোথায় যাবেন। যথাযথ কারণ দর্শাতে না পারলে গাড়ীর যাত্রী, চালক ও পথচারীদের গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে গুনতে হচ্ছে জরিমানা অথবা হতে হচ্ছে আটক।
তবে জেলার কিছু গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বাজারগুলোতে আইন অমান্য করে অনেকেই দোকান খোলা রেখেছেন। যেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি।
কঠোর লকডাউন এর প্রথম দিনে সম্পূর্ণ জেলায় ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ২০ টি ভ্রাম্যমান আদালত সদর উপজেলাসহ ভোলার প্রত্যেকটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছে।
এ সময় ১৯০ টি মামলায় ১৯৮ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এতে আদায় করা হয়েছে২লাখ১হাজার ৭শ’ টাকা। এ ছাড়া ৪ জনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
ভোলা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ হাসান জানান, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে নেমেছেন। বিধি-নিষেধ অমান্য করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে বুধবার (৭ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা দেওয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকছে। তবে গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরি পরিষেবা এ বিধিনিষেধের বাইরে রয়েছে।