আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ সশস্ত্র সদস্য থাকবে, উপজেলা নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে: স্বরাষ্ট্রসচিব

ভোলার কথা
স্টাফ রিপোর্টার সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ

অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটি স্বাভাবিক কেন্দ্রে অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশ ও অস্ত্রসহ আনসারের পিসি ও এপিসি থাকবেন তিনজন। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী ছয় সদস্য থাকবেন।’

সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

সচিব মোস্তাফিজুর বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই। এরপরও প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে। প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ আনসার সদস্য থাকবেন এবং ছয়টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবেন। আনসার থাকবেন তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮জন সদস্য থাকবেন।‘

তিনি বলেন,‘সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটা সমন্বয় সেল হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর কারা তা দেখবে, তাও ট্র্যাকিং করা হবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘যেহেতু ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে দায়িত্ব পালন করবেন।’

প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরদিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘গড়ে পাঁচটি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।’

তিনি আরও বলেন‌, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। কাজেই ভোটও বেশি পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় স্থানীয় নির্বাচন সবসময় প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়।