বখাটে উৎপাতে অতিষ্ঠ তার পরিবার

ভোলার কথা
ক্রাইম ডেস্ক সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:৩১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪

ক্রাইম ডেস্কঃ

ঐতিত্যবাহী ভোলার দৌলতখানের একটি মুসলিম সভ্রান্ত পরিবার আজীম উদ্দীন পাটওয়ারী বাড়ীর মরহুম আলহাজ্ব ওবায়দুল হক মিয়ার পরিবার, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে তারা দৌলতখান পৌরসভা দক্ষিণ মাথা (সেলিম ভবন) এ খুব সুনাম ও মর্যাদার সাথে বসবাস করে আসছে।

কিন্তু, হঠাৎ একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিন ভোলা জেলার কিছু গনমাধ্যম কর্মী / সাংবাদিক গেলে তথ্য অনুসন্ধানে পাওয়া তামজিদ নামে এক ছেলে দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে বাড়ির পরিবেশ নষ্ট করে বাড়ির সম্মান ক্ষুন্ন করছে।

৯ বছর আগে আলহাজ্ব ওবায়দুল হক মিয়ার বড় পুত্র আলহাজ্ব আঃ হাই মিয়ার বাসভবন নির্মানের যায়গা বেদখল করে আছে।

গত ৬ মাস আগে আলহাজ্ব আঃ হাই মিয়ার পরিবার তার বাসভবন নির্মানের জন্য তামজিদকে আপসে জায়গা ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

এবং বাসা তেরি করার জন্য ইট আনা হয় পরবর্তীতে নানা বাঁধা সৃষ্টি করে এবং মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে তামজিদ, পরবর্তিতে বাধ্য হয়ে আলহাজ্ব ওবায়দুল হকের সকল ছেলেরা একত্রিত হয়ে তামজিদের বেদখল থেকে উচ্ছেদ করা হয়।

এরপর, তামজিদ আরো হিংস্র হয়ে পরে, আলহাজ্ব ওবায়দুল হকের পরিবারে সকলকে হাত-পা ভাঙা এমনকি মৃত্যুর হুমকি দেয়।

দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ, সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান, সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।

অপরদিকে, তামজিদ ভোরের অঙ্গিকার সহ কিছু পত্রিকায় ভূল সংবাদ প্রকাশ করায়।

এর বিরুদ্ধে মরহুম আলহাজ্ব ওবায়দুল হকের ভুক্তভূগীব পরিবার সাক্ষাতকার নিচের অভিযোগ প্রকাশ করেন,

গত ২০ এ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় একটি পত্রিকা দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার “দৌলতখানে মুরগির ফার্ম ভাঙচুর ” শিরোনাম এর প্রকাশিত খবরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রকৃত সত্য ঘটনা নিম্নে উপস্থাপন করছি

খবরে প্রকাশিত তামজীদ ব্যক্তিটির বাবা আকবর চাচা আমার বাবা মরহুম আব্দুল হাই (যিনি সেলিম চেয়ারম্যানের বড় ভাই) এর বসত ভিটাতে বহুবছর জোরপূর্বক সুপারি গাছ, বাঁশ খলফা ও কাঠ দিয়ে ছাপরা ঘর তৈরি করে মুরগি পালন আরম্ভ করে। বারংবার নিষেধ সত্বেও তামজিদ ও তার পরিবার ঘরটি অন্যত্র সরিয়ে নেয় নি। আমার বাবা গত হয়েছেন প্রায় তিন বছর হতে চলেছে। আমরা আমাদের বসত ভিটাতে ঘর তৈরির ইচ্ছা পোষণ করলে তামজীদ ও তার পরিবারকে জানাই। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ছাপরা ঘরটি পরিিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। তামজিদ ও তার পরিবার এর সম্মতিতে এই পরিিত্যক্ত ঘরটি দিনমজুর দিয়ে খুলে তাদের বাসার পাশেই রেখে দেওয়া হয় যেটি আমার বাবার পৈত্রিক বসত ভিটাতে ছিল।

মাইনুল চাচা, খোকন চাচা এসবের মধ্যে নেই এবং ফিরোজ, আকবর, জসিম এরা শুধু দিনমজুর হিসেবে আমার দায়িত্বে এবং নির্দেশে মজুরির বিনিময়ে কাজ করেছে।

তানজিদ সম্পর্কে কিছু তথ্য উপস্থাপন করছি ۔

সে ব্যক্তিগতভাবে খুবই বেপরোয়া উশৃংখল অসামাজিক অত্যাচারের মনোভাব সম্পন্ন,
বখাটে ধুরন্দর , ঠকবাজ বেয়াদব টাইপের ছেলে ।

কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হলো۔۔

বাড়ির শান্তি ও পরিবেশের বিঘ্ন ঘটানো, বাবা-মাকে নিয়মিত মারধর করা তার ছোট্ট মামার সংসার ভাঙ্গানো এবং মামার স্ত্রী কে বিয়ে করা।মামা এখন সে শোকে বোবা হয়ে গেছে।

তার বাবার প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পত্তি বলপূর্বক এবং অত্যাচার এর মাদ্ধমে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে বাবাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে।

তামজীদ তার বাবা কে টাকা দেয়ার জন্যে নিয়মিত
চাপ ও অত্যাচার করতে থাকে। তার বাবা সেই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ২ লক্ষ্য টাকা এর বিনিময়ে
উকিলের সাহায্য নিয়ে অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর করায়, যার কপি নিম্নের দেয়া হলো।