ভোলায় মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুলছেনা রহেস্য জট
ভোলা প্রতিনিধি!
ভোলায় গভির রাতে ব্যাবসায়ীর মোটরসাইকেল টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার ৭ দিনেও খুলছে না রহেস্য জট, বেরিয়ে আটছেনা মূল রহেস্য, কারা করলো এই ছিনতাইয়ের ঘটনা সে নিয়েই এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা সমলোচনা। বিষয়টি নিয়ে আঃ রহমান বাদী হয়ে মামলা মোয়াদ্দমা করেছে। এ ঘটনায় সন্ধেহজনক ভাবে কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যদিও তাদের মধ্যে কেউই মামলার আসামী নন।
ঘটনা সম্পর্কে মামলার বাদী আঃ রহমান জানায়, চলতি মাসের ৬ তারিখে গভীর রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মিজান মেম্বারের বাড়ির সামনে সোহাগসহ কয়েকজন তার উপর হামলা করে মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
সোহাগ এর বাবা একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম (শফিক মাঝি) জানান,
নাছির মাঝির হেতনার হাট নামক বাজারে তার মুদিমালসহ তৈলের ব্যাবসা আছে, তাই তিনি গাজিপুর রোডস্থ তৈল ব্যাবসায়ী আবদুর রহমানের তৈলের দোকান থেকে তার দোকানের জন্য তৈল ক্রয় করে আসছিলেন। কিন্তু আঃ রহমানের দোকান থেকে তৈল ক্রয় করার পর তার দোকানে গিয়ে মেপে দেখতে পান যে তৈল ৪০ লিটারের মধ্যে ৩ লিটার কম। এর পর আরেক দিন আঃ রহমান থেকে তৈল ক্রয় করার পর তার সামনেই মেপে তৈল কম বা চুরির বিষয়টি ধরিয়ে দেন। সেই থেকে তৈল চুরির বিষয় নিয়ে আঃ রহমানের সাথে তার দন্দ চলছিলো। ব্যাবসা চলাকালিন তার থেকে আঃ রহমান কিছু টাকা পাওনা ছিলো, চুরি ধরিয়ে দিয়ে আঃ রহমানের দোকান থেকে তৈল ক্রয় না করায় সেই পাওনা টাকাকে ইস্যু করে কয়েক দিন পূর্বে আঃ রহমান কয়েকজনকে সাথে নিয়ে তার ছেলে সোহাগকে আঃ রহমানের দোকানে তুলে নিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে জখম করেছে। সেই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আঃ রহমানের ছিনতাইয়ের ঘটনা তার ছেলে সোহাগের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দিয়ে হয়রানী করছে। তবে তিনিও ঘটনার মূল রহেস্যে উদঘাটন চান।
তিনি আরো জানান, মামলার পর আঃ রহমান বিভিন্ন লোকজন নিয়ে শফিক মাঝির এলাকায় গিয়ে মোটর সাইকেল মোহরা দিয়ে চাঁদা দাবী ও হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। কিন্তু যারা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে তাদেরকে কিছু না বলে পূর্ব শত্রুতায় তাদেরকে হয়রানী করছে।
ঘটনার অনুসন্ধানকারী একাধীক সংবাদ কর্মীরা জানায়, তথ্য অনুসন্ধানে তারা ঘটনাস্থলে গেলে হামলার পর আঃ রহমানকে আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় ইউপি সদস্যের স্ত্রী তাদেরকে ঘটনার বর্ননা দেওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী ছানা নামের এক ব্যাক্তি তাৎক্ষনিক উপস্থিত হয়ে বর্নানাকারীর বিপরিতমূখী কথাবার্তা বলতে থাকে এবং ইউপি সদস্যের স্ত্রীকে ঘটনার বর্ননার মধ্যে বাধা দিয়ে শিখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যদিও সে এঘটনার পক্ষ বা প্রতিপক্ষ নয়। এসব ঘটনায় তাদের সন্ধেহ হয় ছানার প্রতি।
স্থানীয়রা জানায়, গভীর রাতে ছিনতাইয়ের মূহুর্তে ছানার উপস্থিতি এবং এলোমেলো কথাবার্তায় ছানাকে সকলের সন্ধেহ হয়েছে। ছানারকে আটকের মাধ্যমে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল ঘটনা উৎঘাটন হবে বলে তারা ধারনা করছেন। তাই সকলের সন্ধেহের তীর এখন ছানার দিকে।
ভোলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে মামলা হওয়ার পর মূল ঘটনা ও ছিনকৃত মালামাল উদ্ধারে এসপি সাহেবের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে, তাই একের পর এক সন্ধেহ জনক ব্যাক্তিকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে রহেস্য উৎঘাটনের চেষ্টা চলছে, তবে অতি দ্রত্য মূল ঘটনা উদঘাটন উদঘাটন করতে পারবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।