ভোলায় বেড়িবাঁধ সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২১

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ হাছনাইন আহমেদ

ভোলায় বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বাঁধ তৈরি করার জন্য মাটি দেওয়ার পরিবর্তে নদীর পাড়ের ব্লকের উপর মাটি ফেলে দায়সারভাবে অনিয়ম করে কাজ করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় বাঁধের খুব কাছ থেকেই মাটি কাটা হচ্ছে। ফলে আগামী বর্ষায় বাধঁ ভেঙে যাওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ সংস্কার কাজ তেমন কোন কাজে আসবে না বলে মনে করেন এলাকাবাসী। এদিকে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে নানা অনিয়মের কারনে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নিয়ম মতো কাজ না হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে ব্লক সড়িয়ে নতুন করে বাঁধে মাটি ফেলা হবে।
এলাকাবাসী বলেন, বছর পর বছর বন্যা ও নদীর উত্তাল ঢেউ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ভোলার মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্টের বাঁধটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে একটু বেশি পানি হলেই বাঁধ উপচে নদী পারের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। এ অবস্থায় উঁচু ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পিরোডিক ম্যান্টেএজ (সংস্কার)এর কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু বাঁধ উঁচু করা, স্লগ, টপে মাটি ফেলানোর কথা থাকলেও তার পরিবর্তে নদীর পাড়ের ব্লক এনে তার উপর নাম মাত্র মাটি ফেলে কাজ করা হচ্ছে। এমনকি বাঁধের খুব কাছ থেকেই মাটি কাটা হচ্ছে। ফলে ঝুকিঁর মধ্যে পড়ছে বাঁধ। অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতে যে মাটি ফেলা হচ্ছে তা কাটা হচ্ছে বাঁধের পাশ থেকেই। এতে বাঁধের পাশে তৈরি হচ্ছে বড় বড় গর্ত। ফলে হুমকীর মুখে পড়ছে ভোলা শহর রক্ষা বাধঁ।
ভোলা জেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: বাহাউদ্দিন বলেন, যারা বেড়িঁ বাধেঁর কাজে অনিয়ম করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
ঠিকাদারী লাইসেন্স ইউনুছ এন্ড সন্স এর শাহাবুদ্দিন ভূইয়া বলেন, আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে গেছে।
ভোলা পওর বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, নিয়ম মতো কাজ না হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে ব্লক সড়িয়ে নতুন করে বাঁধে মাটি ফেলা হবে।
কাজটি ২০২১ সালে মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলতি বছরের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এবছর বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য ২কোটি টাকা অর্থ সহায়তা করেছে সরকার।