চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার এখন কসাই খানা পরিণত হয়েছে।

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১

এ.এইচ. রিপন ভোলা চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ

চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার এখন নিয়মিত ডাক্তার হোসনা আরার এর কসাই খানা পরিণত করেছেন। ভোলা সিভিল সার্জন এর তথ্য মতে ডাক্তার হোসনা আরা চরফ্যাশন উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্স যোগদান করে ২০১৭ সালে জানুয়ারির ২৮ তারিখে ।স্বাস্থ্য অধিদপ্তারের মতে এক জায়গা তিন বছরের বেশি অবস্থান করতে পারবে না কোনো সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার ।
গর্ভবর্তী মহিলাদের ডেলিভারি নামে চলছে রমরমা সিজার করার ব্যবসা, আর এর পিছনে রয়েছে চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার মালিক ঢাকা পিজি হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার মোঃ রাসেল।
অভিযোগ রয়েছে ডাক্তার হোসনা আরা নিয়িমিত রোগী দেখেন চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার এবং ডাক্তার রাসেলের সাথে ডাঃ হোসনা আরা চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করে। প্রতিটি সিজারে ডাঃ হোসনা আরা কমিশন হিসাবে পান ১২০০০(বার হাজার) টাকা এবং বাকি ৬০০০( ছয় হাজার) টাকা পায় হাসপাতাল কর্তৃ পক্ষ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তার নিয়ম অনুযায় একটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার কম পক্ষে ৫ (পাঁচ ) জন নার্স নিয়োগ দিতে হবে তা ও স্বাস্থ অধিদপ্তার থেকে অনুমদিত কিন্তু চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার গিয়ে দেখা যাচ্ছে যে,তিনজন নার্স তা ও আবার কোনো নাসিং কলেজের নয় তারা। গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীদের দিয়ে রোগীর সেবা দিচ্ছে, এতে করে গর্ভবর্তী মহিলাদের নানা রকম সমস্যা পড়তে হয়।যা মৃত্যুও ঝুকি থাকে।

ফারজানা আক্তার নামে এক গর্ভবর্তী মহিলা জানান, আমাকে এই পর্যন্ত ৯ বার আলটা করেছে এবং প্রতি বার বিভিন্ন টেস্ট দিতো জিএম এর কথা মতো ডাক্তারে, আমি অদ্য ০৩/০৯/২০২১ তারিখে চরফ্যাশন চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তার আমাকে ভর্তি হতে বলে আমি ভর্তি হয় সেখানে।কিন্তু তিন দিন ধরে ডাক্তার পায় নাই নার্স গুলো এসে আমাকে তিন দিনে পাঁচ হাজার সেলাইন প্রদান করলো কিন্তু কোনো লাভ হলো না।আমি ডাক্তারের সাথে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্ট করেছি তাতে ও লাভ হয় নাই।অবশেষ তিন দিন পর হাসপাতালের জিএম এস বলে সিজার করাতে হবে। আমি বললাম কেন ডাক্তার বললো নরমাল হবে। জিএম বললো নরমাল ডেলিভারি হবে না রোগী কে সিজার করতে হবে।
আমি চরফ্যাশন আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার বিল পরিশোধ করে চলে আসলাম সেন্টাল ইউনাইটেড হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে সেখানে রাত ১১ টায় আমি ডাক্তার আঁখি আক্তার কে দেখায় সে এক ঘন্টা সময় দেয় আর বলে নরমাল ডেলিভারি হবে। ঠিক এক ঘন্টা পর আমার গর্ভে একটি কন্যা সন্তান এসেছে।আমি আপনাদের মাধ্যমে ডাক্তার হোসনা আরা ও আধুনিক হাসপাতালের জিএম এর বিচার চাই।
এছাড়া আরো অভিযোগ রয়েছে ডাক্তার হোসনা আরা রোগীর সাথে তার নিকট তম কোনো আত্মীয়-স্বজন যেতে দেয় না।
তারা স্বামী কামরুল হাসান কোনো ডাক্তারি সনদ দেখাতে পারে নাই সে ও নিয়মিত রোগী দেখে চরয়্যাশন আধুনিক হাসপাতালে