ভোলা চরফ্যাশনের ইসলামী শরীয়াহ্ নিষিদ্ধ দাদীর নাতির বিবাহ বিচ্ছেদ!

ভোলার কথা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ সম্পাদক
প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগন্জ ইউনিয়নের সংঘটিত ইসলামী শরীয়া নিষিদ্ধ দাদী নাতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।

গত ১জুন ভোলার একটি আদালতে ৭ লাখ টাকা দেনমহরে কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে ওই বিবাহ করে সংসার শুরু করেন নাতি ও দাদী। স্হানীয়রা স্হানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে শশিভূষণ থানা অফিসার ইনচার্জ ও হাজারীগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার কোর্ট ম্যারেজের কাগজ দেখে তাদেরকে পরিষদে ডেকে এনে আবার বাড়িতে এক সাথে বসবাস করতে পাঠিয়ে দেন।

চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক এম লোকমান হোসেন ইসলামী শরীয়া ও দেশীয় আইনের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ দাদী-নাতির বিবাহ নিয়ে প্রশাসন, আইনজীবী, ইসলামী ফাউন্ডেশন ভোলার বক্তব্যসহ একটি প্রতিবেদন করেন। এদিকে শরীয়া নিষিদ্ধ বিবাহ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল ৬জুন হাজারীগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম হাওলাদার, স্হানীয় আলেম – ওলামা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং দাদী নাতির অবিভাবকের উপস্থিতে বিবাহ বিচ্ছেদ করে দাদীকে ওই এলাকার ইউপি সদস্য জালাল আহমেদ ও নাতিকে তার বাপের কাছে তুলেদেন।

হাজারীগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম হাওলাদার বলেন,তাদেরকে বিবাহ বিচ্ছেদের পাশাপাশি আলদা থাকতে বলেছি। দাদী অন্য কাউকে বিবাহ করতে চাইলে আমরা তাকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। শশিভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ সাবেক মিজানুর রহমান পাটোয়ারী সাংবাদিক এম লোকমান হোসেনকে ম্যাসেন্জারে ধন্যবাদ বার্তা দিয়ে বলেন, ধন্যবাদ আপনি জয়ী হলেন। অপরদিকে সাংবাদিক এম লোকমান হোসেন বলেন, দাদী ও নাতির বিবাহ নিয়ে টেলিভিশন, স্হানীয় ও জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সবাই এটি নিয়ে টোল করেছে। এটি যে, ইসলামি শরীয়া মোতাবেক নিষিদ্ধ কোনো নিউজে উল্লেখ করা হয়নি।বিষয়টি আমার নজরে আসলে, আমি পবিত্র কুরআন সূরায়ে নিসাসহ হাদীসের একাধিক কিতাবে থেকে দলীল দিয়ে এটি নিষিদ্ধ নিউজে উল্লেখ করার পর আলহামদুলিল্লাহ স্হানীয় জনপ্রতিনিধি ও আলেম উলামায়েগণ ওই বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।