খুলনা-বরিশালের নির্বাচনঃ সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ভোট পর্যবেক্ষণ করছেন সিসিটিভিতে

ভোলার কথা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১২, ২০২৩

বিশেষ প্রতিবেদনঃ

বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঢাকার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবন থেকে পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টায় প্রায় ৮ লাখ ভোটারের দুই নগরীর ৪১৫টি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সরাসরি মনিটরিং করছেন।

ইসির সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে, কোথাও কোনোধরনের গোলযোগ বা অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা কমিশনের নজরে পড়েনি।

খুলনায় ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।

এই সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের এসএম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকের এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।

এ ছাড়া ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুই জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

খুলনা সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে ভোট পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।

ভোট পর্যবেক্ষণ করছেন সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা
ভোট পর্যবেক্ষণ করছেন সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা
অন্যদিকে বরিশালে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।

এই নির্বাচনে সাত জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মুফতি ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি), মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ) এবং মো. আসাদুজ্জামান (হাতি)।

পাশাপাশি সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। নির্বাচনে দুই নারী সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোজিনা শেখ আয়শা ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদা বেগম। মোট ছয় জন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ মুহূর্তে চার জন তা প্রত্যাহার করেন।

ইসির তথ্যমতে, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ভোটকক্ষ ৮৯৪টি। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দুইটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এতে মোট ১ হাজার ১৪৬টি ক্যামেরা রয়েছে।

সোমবার বরিশাল ও খুলনা সিটি ভোটের পাশাপাশি কক্সবাজার ও আড়াইহাজার পৌরসভায়ও ভোট চলছে।

এদিকে নির্বাচন ভবনে ইসির আইডিইএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল রয়েছে। তাতে জননিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, বিজিবি, র‌্যাব ও আর্মড পুলিশের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তারাও আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কমিশনকে অবহিত করছেন।