স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ব্যবস্থা নেওয়ার স্বাস্থ্যবিধি না মানলে

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে একটি অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি, আপনারা গতবার যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছেন, এবারও সেটা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের মূল হাতিয়ার আপনারা। আপনারা যেহেতু জেলার দায়িত্বে আছেন, সবাইকে নিয়ে কাজ করেন; স্থানীয় প্রতিনিধি যারা আছে, তাদের নিয়েও কাজ করুন। তদের নিয়ে কাজ করলে আপনাদের কাজ আরও ভালো হবে।’

তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনের লাগাম টেনে ধরতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ না থাকলেও এটি আশঙ্কাজনক। বাসে, ট্রেনে, স্টিমারে যখন লোক চলবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে জনসমাগম বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। ল্যান্ড-পোর্ট, সি-পোর্টসহ বিভিন্ন পোর্ট যেন তারা ঠিকমতো দেখেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা কোয়ারেনটাইনে আছেন তারা অনেক সময় এটি ঠিক মতো মানেন না। এ বিষয়ে তাদের নজরদারি করতে বলেছি, যেন কোয়ারেনটাইন ঠিক মতো হয়।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে মাদক বেড়েছে, এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি হচ্ছে। এ বিষয়েও তাদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’

তিনি বলেন, ‘দেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ভালো রাখতে হলে অবশ্যই করোনার লাগাম টেনে ধরতে হবে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত আছি। আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছি। টেস্টের কোনো অভাব নেই, ৮০০ ল্যাব আছে। আমাদের কিট আছে, অক্সিজেনের অভাব নেই; প্রায় ৮৩০টি হাসপাতালে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর স্থাপন করা হয়েছে, যা আগে ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মেডিসিনের ব্যবস্থা রয়েছে, ২০ হাজার বেড আছে। তাছাড়া ৪০ হাজারের মতো নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৫ হাজারের মতো ডাক্তার ও ২০ হাজার নার্স রয়েছে। সার্বিক প্রস্তুতি ভালো।’ মাস খানেকের মধ্যে দেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্যাকসিন কার্যক্রমে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও তারা সহযোগিতা করছে, করবে। আমরা ১২ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ দিতে চাই। আমাদের হাতে এখন ৯ কোটি ভ্যাকসিন আছে, যেটা অনেক দেশের নেই। বুস্টার ডোজ নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়েছে।’