বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চ টার্মিনালের দূর্ভোগ
মোঃ ইসমাইল বিশেষ প্রতিনিধি।।
দ্বীপ জেলা ভোলার দৌলতখান এর ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাট বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চ টার্মিনাল।
যেখানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে হাতিয়াগামী ২ টি লঞ্চ, ঢাকা থেকে চরফ্যাশনগামী ৩ টি লঞ্চ এছাড়া দৌলতখান থেকে নোয়াখালীর ২ টি লঞ্চ ঘাট দেয়। ভোলা জেলা সহ ভোলার বিভিন্ন উপজেলার
প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক এ লঞ্চঘাট দিয়ে আসা যাওয়া করে।
বিভিন্ন উপজেলা বা দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন আসা যাওয়ার ফলে লঞ্চের সময় অনেক ব্যস্ততম থাকে এ লঞ্চঘাটটি।
ঢাকাগামী লঞ্চগুলো চরফ্যাশন বা হাতিয়া থেকে আসা যাওয়ার মাঝে কিছু সময়ের জন্য ঘাট দিয়ে থাকে। এসব লঞ্চগুলো জোয়ার-ভাটার কারনে ঘাট দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকেনা। যার ফলে যাত্রীরা অনেক আগেই লঞ্চের অপেক্ষা ঘাটে এসে থাকতে হয়। টার্মিনালে যাত্রী ছাউনি যাত্রীর তুলনায় সীমিত থাকায় চায়ের দোকানগুলোতে ভীর জমায় যাত্রীরা।
এদিকে, টার্মিনালের দিকে সরজমিন গিয়ে লক্ষ্য করলে বুঝা যায় টার্মিনালে যাত্রী বা মালামাল নামানোর জন্য বিআইডব্লিউটএর কোন সু-ব্যাবস্থা নাই।
সাধারন মানের সিড়ি দিয়ে যাত্রী ও মালামাল উঠানো ও নামানো হয়।
এতে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যাত্রী ও ঘাটের কুলিদের। মাঝে মধ্যে মালমাল নষ্ট হয় জরিমানা দিতে হয় ঘাট ইজারাদারকে। বিভিন্ন সময় যাত্রীরা বড় ধরনের দূর্ঘটনার পড়তে হয়।
অপরদিকে, লঞ্চগুলোর মধ্যে থাকে নানা রকম প্রতিযোগীতা। যার ফলে যাত্রীদের মধ্যে থাকে উঠা নামার প্রতিযোগীতা। এতে যাত্রীদের মধ্যে যেমন রয়েছে সচেতনতার অভাব তেমনি রয়েছে লঞ্চ কতৃপক্ষের। যার ফলে মৃত্যুর মতো কঠিন সমস্যায় পড়তে হয়।
ঘাট ইজারাদার মোঃসফিউল্ল্যাহ
কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- তার আর আত্নীয় স্বজন ও নানা ক্ষেত্র থেকে ধার ও ঋন নিয়ে ৪৫ লক্ষ টাকায় এ টার্মিনাল লিজ নেন। পরবর্তিতে তার ব্যাক্তিগত খরচে নঙ্গোর লাগান যাতে জোয়ার ভাটার ফলে টার্মনাল সরে না যায়। কোভিড -১৯ এ টানা কয়েকমাস নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় তিনি মানুষিক ও আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত হন।
এদিকে, টার্মিনালের বা ঘাটের অবস্থা খুব দুর্বল হওয়াতে যাত্রীদের বিভিন্ন দুর্ঘটনা সহ নানান অভিযোগের শুনতে হয় তার। কখনো দিতে হয় বিরাট অংঙ্কের জরিমানা।
বিআইডব্লিউটিএ কতৃকপক্ষকে এসব বিষয়ে অবগত করলে নানা রকম আশ্বাস দেয় তারা। কিন্তু, সময় চলে গেলেও তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের কোন প্রকার পদক্ষেপ দেখা যায়না। এদিকে,টার্মিনালে নেই নিজস্ব টিকেট কাউন্টার রুম যার ফলে টার্মিনালের বাহীরে আলাদা অফিস রুম ও বাহীরে ছাউনি দিয়ে রোদ ,বৃষ্টি ও শীতের মধ্যে টিকেট কাটতে হয়। এতে অনেক যাত্রীরা টিকেট না কেটেই লঞ্চে উঠে যায়।
তিনি আরো বলেন, এ মৌসুমে জরুরী ভিত্তিত টার্মিনালের স্পার্ক ও আধুনিক ব্রীজ স্থাপন করা প্রয়োজন। নিজের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে মাটি ও বস্তা দিয়ে কিছুটা সংস্কার করলেও আসছে বর্ষায় এ ঘাট টিকে থাকে কিনা সন্দেহ।
এরকম যুদি চলতে থাকে এ ঘাটে যাত্রীর পরিমান কমবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঘাটের ক্ষুদ্র দোকানীরা।