ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা, ২ চালকের মারধরে যাত্রীর মৃত্যু

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২২

মোঃ রিয়াজ মাহমুদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ

জেরে অটোরিকশা ও মিশুক চালকের মারধরে মো. আলি হোসেন (৫২) নামে এক কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের লালবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত আলি হোসেন অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তিনি পেশায় একজন কৃষক।

সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাসেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, যাত্রী জনপ্রতি ৫ টাকা ভাড়া দিতে চাইলে চালক ১০ টাকা দাবি করে এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। এ পর্যায়ে একজন মিশুক চালকও ঘটনাস্থলে আসে এবং দুই চালক মিলে যাত্রীকে মারধর করে। এসময় অটোরিকশা চালকের ধাক্কায় যাত্রী লোহার কাটা তারের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে গিয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব মিটমাট করে দিলে উভয়পক্ষ ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়। এর ১৫ মিনিট পর যাত্রী অসুস্থ বোধ করলে তাকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘অটোরিকশা ও ওই মিশুক চালক বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তাদের নাম, পরিচয় শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

নিহত আলি হোসেনের বন্ধু ও সহযাত্রী কৃষক রকিবুল শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ধান কাটার মেশিন মেরামত করার জন্য একটি অটোরিকশায় করে দুজন যাচ্ছিলাম। লালবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে দুজনের ভাড়া ৫টাকা করে ১০ টাকা দিতে চাইলে চালক ২০ টাকা দাবি করে। এ নিয়ে অটোরিকশা চালকের সঙ্গে আলি হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। তারপর হাতাহাতির এক পর্যায়ে আলি হোসেনকে চালক ধাক্কা দিলে সে সড়কের পাশে থাকা একটি কাটা তারের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে পড়ে যায়। তারপর আরেকজন মিশুক চালক গাড়ি থামিয়ে এসে দুইজন মিলে তার বুকে ঘুষি দেয়। এরপর স্থানীয়রা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। চালক ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর আলি হোসেন অসুস্থ বোধ করলে একটি স্থানীয় বাসায় বিশ্রাম নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার জসিম উদ্দিন জানান, সকাল ১১টায় আলি হোসেনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তার শরীরের বুকে গুরুতর জখম ছিল। সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।