লালমোহনে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ৮ জনকে পিটিয়ে আহত বসত ঘর ভাংচুরও লুটপাটের
মোঃ সাইফুল ইসলাম-(জিহাদ), নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভোলা-লালমোহনে উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নুরবক্স হাওলাদার বাড়ির মোহাম্মদ উল্লাহ গং দের আম পড়াকে কেন্দ্র করে ৮ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের নুরবক্স হাওলাদার বাড়িতে (২’ই মে রবিবার) সন্ধ্যা ৬ টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নুরবক্স হাওলাদার বাড়ির মোহাম্মদ উল্লাহ(৫৫) এর ওয়ারিশ কৃত জমির আম গাছ থেকে তার ছেলে জুবায়ের আম পারলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত রহিম বক্স এর স্ত্রী জরিনা ও তার মেয়েরা একত্রিত হয়ে নাজমা, কোহিনুর, কমলা, আকলিমা, রিক্তা সহ একই এলাকার মৃত নজির আহমেদের ছেলে সালাউদ্দিনসহ একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মোহাম্মদ উল্লার বসত ঘরের বিদ্যুতের মিটার, দরজা ভাঙচুর করে এবং শতাধিক কাঁঠাল ও মোহাম্মদ উল্লার ঘরের সামনে থেকে ২৫ মণ ধানের চাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। তার সাথে কয়েকটি ফলজ গাছ কেটে ফেলে এ সময় তাদেরকে বাধা দিলে মোহাম্মদ উল্লার পরিবারের ৮ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, গত রবিবার আছর বাদ হঠৎ করেই রহিম বক্স এর স্ত্রী জরিনা, শুরমা, কোহিনুর, কমলা, আকলিমা রিক্তা সহ একই এলাকার মৃত নজির আহমেদ এর ছেলে সালাউদ্দিনসহ আরো কয়েকজন মিলে লোহার রড, লাঠিসোটা ও দা নিয়ে হামলা করে এলোপাতাড়ি রহিমাকে পিটিয়ে আহত করে। তাকে উদ্ধার করতে আমার স্ত্রী শাহনাজ বেগম ও আমার ছেলে জুবায়ের ও কন্যা মাহমুদা খাতুন ও ভাগ্নি আইরিনসহ আমার পরিবারের শাহিন, সুমাইয়া বেগমকে পিটিয়ে আহত ও রক্তাক্ত জখম করে।
গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত জখম রাহিমাকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে আমি লালমোহন থানায় একটি অভিযোগ করি এবং প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত কোহিনুর বেগমের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করতে চাইলে তিনি জানান, আমি হাসপাতালে চাকরি করি এ কথা বলে মারপিটের ঘটনার পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যায়।