নানা অনিয়মের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দৌলতখান-আলেকজন্ডার রুটের সী-ট্রাক এস টি ভাষা শহীদ আঃ সালাম।
রিয়াজ মাহমুদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
মোঃ ইসমাইল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
২০ মে ২০২২ ইং থেকে রুট পারমিটবিহীন চলাচল শুরু করা হয়,সী-ট্রাক এস টি ভাষা শহীদ আঃ সালাম
অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ উপকুল প্রেসক্লাবের ভোলা জেলার একদল প্রতিনিধি সরজমিন গেলে দেখা যায়, প্রথম থেকে এরা একের পর এক অনিয়মে চার্টার নিয়ম বর্হিভূতভাবে তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৬ জুন (সোমবার) দ্যা তথ্যপুঞ্জ, দৈনিক গণমুক্তি, দৈনিক সংবাদ দিগন্ত, ভোলার কথা, বাংলাদেশ উপকূল, দৈনিক বজ্রকন্ঠ পত্রিকার গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ তথ্য গেলে সী- ট্রাক’র মনিটরিং কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুল আলম জামালকে অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য বা রুট পারমিট সহ যাবতীয় কাগজ পত্র দেখতে চাইলে তিনি মৌখিক ভাবে তথ্য দিয়ে সহয়তা করলেও নিয়ম বাহিরে বিধায় সরকারি নথিপত্র দেখাননি।
নথি পত্রের ব্যাপারে জোর করায় তিনি দৌলতখান অথবা রামগতি উপজেলার নির্বাহী অফিসার এর কাছে তা সংগ্রহ করার অনুরোধ করেন।
এরপর দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি জানান এ ব্যাপারে তিনি এখনো অবগত নয় এবং তারা এখনো কোন নথিপত্র পাঠায়নি।
চলমান প্রক্রিয়াধীন পরবর্তী অনুসন্ধান গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতিতে তিনি সরজমিন দৌলতখান বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাটে পরিদর্শনে যান। নথি পত্র তলব করেন। তখন দেখা যায় নথি পত্রে অনুমতিত রুট উল্লেখ আলেকজন্ডার-দৌলতখান-মির্জাকালু পর্যন্ত। কিন্ত এখন পর্যন্ত এ সার্ভিস মির্জাকালু রুটে যাত্রী সেবা দিচ্ছেনা।
মাঝেমধ্যেই তারা মাস্টার বিহীন অনুমোদিত বিহীন সুকানী দিয়ে সি-ট্রাক’র ট্রিপ পরিচালনা করে।
এসকল অনিয়ম নিয়ে যাচাই-বাছাই এর এক পর্যায়ে বাংলাদেশ উপকূল প্রেসক্লাব এর কেন্দ্রীয় সাংবাদিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিআইডব্লিউটিসির ভোলা জেলা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ পারভেজ খান মেরীন সেকশন এর উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করলে, তারা চার্টার মালিকের বরাবরে মাস্টার বিহীন ট্রিপ পরিচালনা বন্ধ রাখার জন্য এবং কারন দর্শানোর চিঠি ইস্যু করেন।
এর প্রেক্ষিতে ১লা সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ট্রিপ পরিচালনা বন্ধ রাখা হয়।