আজ থেকে শুরু হল সারাদেশে লঞ্চ চলাচল, কেউ মেনে চলছেনা স্বাস্থবিধি

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১:২৪ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২১

 

মোঃইসমাইল, বিশেষ প্রতিনিধি

রাজধানীর সদরঘাট সহ সারাদেশে আজ ২৪ মে (সোমবার) সকাল থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। আজকে বৈরী আবহাওয়ার কারনে কম থাকলেও আগামীকাল থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

২৪ মে (সোমবার) সরেজমিনে দৌলতখানের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট গেলে দেখা যায়, রাত ৮ টায় অর্ধশতাধিক যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লঞ্চের অপেক্ষায় লঞ্চঘাটে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাট থেকে লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে চলে যায়।

যেখানে,স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিটি লঞ্চে অর্ধেক করে যাত্রী নেওয়ার কথা লঞ্চ মালিকদের। এ জন্য ভাড়াও নেয়া হচ্ছে ৬০ ভাগ বেশি।

ঢাকা গামী যাত্রী সফিক বলেন, ‘ঈদে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নানা কৌশল অবলম্বন করে গ্রামের বাড়িতে এসেছি অসুস্থ মাকে দেখতে। এখন লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি, উন্নত চিকিৎসার জন্য। তবে করোনার অজুহাতে ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি রাখছেন লঞ্চ মালিকরা।
কিন্তু যেভাবে যাত্রী নেওয়ার কথা ছিলো তা কেউ মেনে চলছেনা

স্বাভাবিকের তুলনায় এখন ঘাটে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম বলে জানিয়েছেন লঞ্চঘাট কতৃপক্ষ, টানা কয়েকবার লকডাউন থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

অপরদিকে, লঞ্চ চালু হওয়াতে ঘাটের কুলিদের মুখে যেনো ঈদের আনন্দ। তাদের সরকারের কাছে আবদার লঞ্চ যাতে পূনরায় বন্ধ না করেন।

গত শনিবার (২১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে ২৪ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো লঞ্চ চলাচলের দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা। এ সময় লিখিত বক্তব্যে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল ছয় দফা দাবিও জানিয়েছিলেন। তিনি শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-বােনাস দেয়ার জন্য সংস্থার পক্ষ হতে গত ৫ মে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর প্রণোদনার জন্য যে আবেদন করা হয়েছে তা অনতিবিলম্বে মালিকদের মাঝে বন্টনের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া এনবিআরের ধারণক্ষমতার ওপর অগ্রিম প্রদত্ত ছয় মাসের ট্যাক্স আনুপাতিক হারে মওকুফ, বিআইডব্লিউটিএ’র ছয় মাসের কারভেন্সি ও বার্লিং চার্জ মওকুফ, নৌ পরিবহন অধিদফতরের ছয় মাসের সার্ভে ফি মওকুফ ও ব্যাংক লােনের ছয় মাসের সুদ মওকুফ করার দাবি জানান তিনি।