ভোলায় আসছে ৩৭ হাজার করোনা ভ্যাকসিন
ইলিয়াছ চৌধূরী।
ভোলায় প্রথম ধাপে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ৩৭ হাজার ৭ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন যাচ্ছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) জেলা কমিটির সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এসব টিকা সংরক্ষণে ভোলা সদর হাসপাতালের ওয়াকইনকুলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনার টিকা স্থানীয়ভাবে দেওয়া হবে।
ভোলায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ কমিটির সভাপতি সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক। জেলা প্রশাসক জানান, ঢাকার এবং আটটি বিভাগ শেষে জেলা পর্যায়ে এ ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। ভোলা সদর হাসপাতালে আটটি কাউন্টারে ১৬ জন দক্ষ সেবিকা ও ৩২ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে প্রথম ধাপে এ টিকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও দেওয়া হবে এসব টিকা।
তিনি আরও জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৫টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের তালিকা অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। টিকা পাওয়ার জন্য অ্যাপস-অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ১৫টি ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যাবে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে এই টিকার আওতায় আনা হবে। এছাড়া ভ্যাকসিনের ব্যাপারে যারা গুজব ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, জেলায় মোট ৩৭ হাজার করোনা টিকার মধ্যে সদর উপজেলায় ১১ হাজার ১৬০ ডোজ, দৌলতখানে ৩ হাজার ৭২৮, বোরহানউদ্দিনে ৪ হাজার ৩৫২, লালমোহনে ৩ হাজার ৮২১, তজুমদ্দিনে ২ হাজার ৭৭০, চরফ্যাশনে ৮ হাজার ৯৯৯ ও মনপুরায় ২ হাজার ১৭৭ ডোজ দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজিত হালদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আল ফারুক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।