পূর্ব ইলিশার সরোয়ারর্দি বাহিনী হাতে একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এর উপর হামলা,
ভোলা প্রতিনিধি ঃ
ভোলা সদর উপজেলা পূর্ব ইলিশা ৭ ওয়ার্ড গত ১৩ মে রাত ৮ টায় ইলিশিয়া বাজার সরোয়ারর্দি নেতৃত্বে মোকাম্মেল হক, জাহাঙ্গীর আলম, মুসলেউদ্দিন, হারুন বেপারী , জাহিদ বেপারী, সাইফুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম রবিন সহ ১২থেকে ২০ জন একটি দল, ওই এলাকার মুক্তিযুদ্ধা মুকবুল আহাম্মদ, এর সন্তান ভোলা কলেজের প্রভাষক মোঃ জামাল উদ্দিন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মোসলেহ উদ্দিন সহ কয়েক জনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, সে হামলায় ভিকটিম দৌড়ে ইলিশিয়া বাজারে নারায়ন ডাক্তারের বাসায় আশ্রয় নেয় পরবর্তীতে ৯৯৯ তে ফোন করে পুলিশের সাহায্য চাইলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ এসে সরোয়ার গং দের হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে,
ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে মুক্তিযুদ্ধা মকবুল আহমদ, জানান আমি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সক্রিয় যোদ্ধা হিসেবে জীবনের মায়া ত্যাগ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। পাকিস্তানি শত্রুদের পরাস্ত করে দেশকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু আজ এই দেশে আমি পরাধীন। আমি সর্বশেষ সংশোধনকৃত তালিকায় স্থান প্রাপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আমি আমার ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়িয়েছি। তারা এখন নিজ যোগ্যতায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরী করে। এটি আমার জন্য এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরোয়ার্দি এবং তাদের ভাইদের কুদৃষ্টি পড়েছে আমার উপরে। সরোয়ারর্দি গংরা বিভিন্ন সময় আমার বাস্তু ভিটায় হামলা চালিয়েছে,এবং চাঁদা দাবী করে আসতেছে। গত ১৩ মে ২০২১ তারিখ ইদুল ফেতরের আগের রাত সন্ধ্যায় ওরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার ছেলে মোঃ মোসলে উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক, রাজাপুর প্রাইমারি স্কুল ও মোঃজামাল উদ্দীন, প্রভাষক, ভোলা সরকারি কলেজ কে বেধড়ক পিটাতে থাকে। তারা প্রাণ রক্ষার্থে নারায়ণ ডাক্তারের বসত ঘরে আশ্রয় নেয়।সেখানে গিয়েও হামলা চালায় ও অবরুদ্ধ করে রাখে। জনতা আমাদের অবস্থা দেখে ৯৯৯ ফোন করে। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমার ছেলে মোঃ মোসলেহ উদ্দিন মারাত্নক জখম হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাতেও তারা থেমে থাকেনি। ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আমরা ঘর থেকে বের হলেই আমাদের আবার মারধর করবে। আমি এবং আমার পরিবার এখন অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি।আমার দুই ছেলে যাদের আঘাত করা হয়েছে তারা ওদের ভয়ে পালিয়ে আছে। বাড়িতে আসতে সাহস পায়না। শুধু আমার পরিবার নয়,ইলিশা বাজার এলাকায় প্রত্যেকটা সাধারণ পরিবার ও সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারগুলোকেও জিম্মি করে রেখেছে। ওদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাদের মারধর ও অত্যাচার করে। সরোয়ার, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারি,১৯৮০ সালের দিকে জাকের পার্টি গোলাপ ফুল মার্কার পদধারী, ১৯৮৯,৯০সালের দিকে জাতীয় পার্টি লাঙল মার্কার পদধারী থাকা কালীন ইলিশা রাস্তার মাথায় দারোগার খালের খেয়ার ডাক নিয়ে সাধারণত মানুষকে হয়রানি করলে জনগণ বাশের সাকো নির্মাণের সময় নুর ইসলাম শিকদারকে মেরে ফেলে সেই মামলায় সেই সময় জেলখাটে। এখন ইলিশা ঘাটে যাত্রিদের হয়রানি করার অভিযোগ পত্রিকায় কয়েকবার প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৪-০৫ সালে ইলিশা বাজারে আমার ৩৫ বছরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পজিশন কেড়ে নিয়ে সেই পজিশনে সরোয়ার দোকান উঠিয়েছে। সেই সময় আরও ৬-৭ জনের পজিশন কেড়ে নিয়ে সে দোকান উঠিয়েছিল। তাদের কারণে অত্র এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মীও নিরাপদ নয়। চৌকিদার বাড়ির মনির এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মনিরকে সরোয়ার গংরা পিটিয়ে অর্ধমৃত করে।(এরকম ঘটনা তারা অহরহ ঘটাচ্ছে) লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় মনিরকে হাসপাতালে ভর্তি করে।তার অপরাধ ছিল সরোয়ারের ছেলে ও ভাইয়ের মাদক ব্যবসার কথা পুলিশকে জানানো। এলাকার কিশোরদের মাদক দিয়ে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরোয়ারের ভাই মোসলে উদ্দিন এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। তার ছেলে দুইবার বিপুল পরিমাণ মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তিনটি হিন্দু বাড়ি জোর করে লিখে নিয়ে দখল করে আছে। কিন্তু কেউ মুখ খোলার সাহস করে না।কারন জমি দখল করতে গিয়ে আপন চাচাতো ভাইয়ের মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করতেও তারা ছাড়েনি। সংখ্যা লঘু হিন্দু, সাধারণ পরিবারগুলোকে ও আমাকে ওদের হাত থেকে বাঁচানোর আকুল আবেদন জানাচ্ছি।স্বাধীন দেশে এভাবে পরাধীন থাকা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার জন্য অনেক কষ্ঠের। তার বিভিন্ন অপকর্মের পেপার কাটিং ও ভিডিও ক্লিপস আমাদের কাছে আছে।
এ বিষয়ে ভোলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা হয়েছে, মামলা নং ২০৯ তারিক ২/৬/২০২১
এ বিষয়ে সরোয়ার মিয়ার সাথে আলাপ কালে তিনি জানান ১৩ তাং রাতে আমার ছোট ভাই মুসলিমদের সাথে মুক্তিযুদ্ধা মকবুল আহমদের সন্তানের সাথে কথার কাটাকাটি হয়েছে এর চেয়ে বেশি কিছু আমার জানা নেই,
বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধা মকবুল আহমেদ এর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা