মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে জেলা প্রশাসক, দুই জেলে আটক

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২১

 

মোঃ বাবুল রানাঃ

মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে নদীতে সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে সরকার। আজ ০৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই ২২ দিন চলবে এই অভিযান। এ সময় ইলিশ আহরণ,পরিবহন, মজুদ, ক্রয় ও বিক্রিতে সম্পন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তার ধারাবাহিকতায় ভোলার মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন ভোলা জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মুহাম্মদ কায়সার, জেলা মৎস্য অফিসার এস এম আজহারুল ইসলাম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা মৎস্য অফিসার জামাল হোসাইন।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ভোলার চরফ্যশন উপজেলা প্রশাসন নেতৃত্বে একটি টহল টিম উপজেলার মেঘনা নদীতে থেকে মাছ ধরার অপরাধে ২ জেলেকে আটক করা হয়েছে ।

অভিযান পরিচালনা কালে জেলা মৎস্য অফিসার এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার জলসিমায় ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সকল প্রকার মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই মা ইলিশ রক্ষায় ভোলার নদীতে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে জেলার ৭ উপজেলায় ২৪ টি টিমে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ড এক যোগে কাজ করছে । পাশাপাশি অভিযান পূর্বে জেলার প্রায় প্রতিটি মাছ ঘাটে সচেতনতা মূলক সভা করা হয়েছে। আশাকরি সকলের সহযোগিতায় ইলিশের যে নিরাপদ প্রজনন ক্ষেত্র তা সফল করতে সক্ষম হবো।

এ সময় জেলা পুলিশ সুপার সরকার মুহাম্মদ কায়সার বলেন, ২২ দিন ব্যপি মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান আজ থেকে শুরু হয়েছে। এই অভিযানকে সফল করার জন্য আমাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্তক প্রচেষ্টা আমরা অবগত রেখেছি। জেলার প্রতিটি থানায় এই অভিযানকে কেন্দ্র করে ৫ জন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এবং সকাল থেকে আমরা নদীতে পর্যবেক্ষন করেছি নদীতে কোন মাছ ধরার নৌকা চোখে পরেনি। আশা করি অভিযান সফল হলে ইলিশে সমৃদ্ধ হবে ভোলা জেলা।

এ সময় জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন- অভিযানের শুরুর পূর্বেই সরকারের পক্ষ থেকে জেলেদের জন্য যেই মৎস্য ভিজিএফ বরাদ্দ পেয়েছি তা ইতিমধ্যে জেলার ৭ উপজেলার ইউএনও দের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশাকরি এই সপ্তাহের মধ্যে সকল নিবন্ধিত জেলেরা বরাদ্দকমত চাল পেয়ে যাবে। এবং যারা বেদে সম্প্রদা আছে তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ কেজি করে চালের একটি বরাদ্দ রয়েছে তারাও অতি শিগরই পেয়ে যাবেন। এছাড়া জেলেরা বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়েছেন। তাদের কথা চিন্তা করে ভোলার এনজিও গুলোতে চিঠি পাঠিয়েছি যাতে করে অভিযানের এই ২২ দিন জেলেদের থেকে কোন কিস্তির টাকার জন্য চাপসৃষ্টি না করা হয়।

এ ছাড়াও তিনি আরও বলেন, অভিযানের এই ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময় ইলিশ রক্ষায় ইলিশ ধরা, বিক্রয়, সংরক্ষণ, মজুদ, পরিবহন করা থেকে বিরত থাকলে আমাদের দেশের ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সফলতা আসবে বলে জানান তিনি।