ভোলার ভেদুরিয়ায় দুই গুরুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ২০
ভোলা প্রতিনিধি!
ভোলায় রফিজল ও জামাল গুরুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, এতে উভয় পক্ষের অন্তত্য ২০জন আহত হয়েছে, আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে ভোলা সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যানদেরকে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধায় সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট নামক এলাকার তুর্জন আলী হাওলাদার বাড়ির সামনে এঘটনা ঘটে।
জামাল গুরুপের অাহতরা জানায়, মাগরিবের নামাজের শেষে উভয় পক্ষের লোকজন মসজিদ থেকে বের হয়, বের হওয়ার পর মসজিদের সংলগ্নে রফিজল
বলতেছেনযে, ‘হেফাজত ইসলামের নেতা মাহমুদুল হককে অবৈধ ভাবে অাটক করে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং তাকে ছেড়ে না দিলে দেশে বড় ধরনের অন্দোলনের সৃষ্টি হবে তাছাড়া লকডাউনের নামে সরকার তামাশা করছেন’। রফিজল এধরনের কথা বলার সময় জামাল ক্ষেপে গিয়ে তাকে এসব বলতে নিষেধ করেন, কিন্তু রফিজল ক্ষান্ত না হয়ে আরো উত্তেজিত হলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় রফিজলের সাথে থাকা কয়েকজনকে সাথে নিয়ে জামালের উপর প্রথমে হামলা করে, এরপর জামালকে বাচাঁতে তার পক্ষের লোকজন এগিয়ে এলে রফিজল গুরুপের লোকজন তাদের উপরেও হামলা করে। জামাল গুরুপের লোকজনের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদেরকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। রফিজল গুরুপের লোকজন সরকার বিরোধী ও জনসাধারনের উপরে হামলা করার অপরাধে স্থানীয়রা ক্ষেপে গিয়ে তাদেরকে গনধোলাই দেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত্য ২০ জন আহত হয়, গুরুতর আহতদের মধ্যে আবু ছায়েদ তুহিন, মোঃ আল আমিন, মোঃ রুবেল, মোঃ হারুন, মোসাঃ মিনারা, মোঃ হাসান, মোঃ ইব্রাহীম, মোঃ রিয়াজ, মোঃ আবদুল শহীদ, মোঃ নুরুউদ্দিন, মোঃ তামিম, মোঃ রিপন, মোঃ নিরব, মোঃ ইউসুফকে ভোলা ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়, বাকিদেরকে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার বিষয়ে রফিজল গুরুপের আহতরা জানায়, ঘটনার সময় গরুর গাস কাটাকে কেন্দ্র করে রফিজল ও শফিজল দুই ভাইয়ের ভিতর কথা কাটাকাটি হচ্ছিলো। এসময় জামাল হোসেন উভয়কে ঝগড়া করতে নিষেধ করেন, এতে জামালের সাথেও তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় গুরুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানায়, জামাল হোসেন আওয়ামীলীগ পন্থী এবং রফিজল জামায়েত বিএনপি পন্থি হওয়ায় উভয়ের মধ্যে পূর্ব থেকেই দন্দ চলছিলো, ঘটনার দিন দুই গুরুপের লোকজনের সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়, পরে পুলিশ দ্রত্য এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ভোলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন জানায়, খবর পেয়ে তিনি ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আরমান হোসেন ও আরেকজন ইন্সপেক্টরসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে দ্রত্য ঘটনা স্থলে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। কাউকে ছাড় না দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদেরকে আইনের আওতায় আনবেন বলেও তিনি জানান।