দশ বছরে ভোলা পৌরসভায় ২৮২ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে: মেয়র মনির 

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১

পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কর্মীসভা করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। বিকেলে শহরের উকিলপারা এলাকায় পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পৌর ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ হোসেন জুম্মনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলা পৌর সভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আরজু, ভোলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল্লাহ নাজু, ভোলা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ছাদেকুর রহমান, মাহমুদুর রশিদ সোহেল, অসীম মিশ্র, ডিকেন চৌধুরী প্রমুখ। সভায় ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী সিতিকা কর্মকার ও কামরুন্নাহার আখি উপস্থিত ছিলেন।

 

এসময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মনিরুজ্জামান বলে, বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া এবং রুপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের হাত ধরে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন আসছে। সেই উন্নয়নের মহাসড়কে ভোলাও রয়েছে। তাই ভোলার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

 

এসময় তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলে মানুষ শান্তিতে ঘুমাবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে উন্নয়ন হবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে মা-বোনদের বাসায় গ্যাস সংযোগ পৌঁছে যাবে। আগামী মাস থেকে ভোলা পৌর এলাকায় গ্যাস সংযোগের কাজ শুরু হবে তিনি আশ্বাস দেন।

 

গত ১০ বছর আমি আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই এক দশকে জননেতা তোফায়েল আহমেদের সহযোগিতায় ভোলা পৌরসভায় ২৮২ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। গত দশ বছরে যে কাজ হয়েছে তা স্বাধীনতার পরে কেউ করতে পারিনি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আমি মেয়র নির্বাচিত হয়ে ৪নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকার রাস্তা করে দিয়েছি। যার ফলে এই এলাকার জমির দাম বেড়েছে।

 

এ সময় মনিরুজ্জামান আরো বলেন, আপনারা আমাকে আবারো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে ভোলা সরকারি স্কুলের মাঠকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার কাজ করব। পাশাপাশি টাউন স্কুলের মাঠে মহিলাদের জন্য এককভাবে পার্ক করা হবে। সেখানে থাকবে জিমনেশিয়াম, লাইব্রেরি, বসার জায়গা, রেস্টুরেন্ট ও এল.ই.ডি টিভি। ভোলা পৌরসভাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। জিয়া সুপার মার্কেট ভেঙে সেখানে ভোলা ট্রেড সেন্টার তৈরি হবে। শহরের যানজট নিরসনে বাংলা স্কুলের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় একটি মোটরসাইকেল রাখার টাকা করে দেয়া হবে। তার পাশেই ট্রাফিকদের জন্য বিশ্রামাগার করা হবে।