লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গ্রাম পুলিশের যায়গায় ঘর উত্তোলনের অভিযোগ
ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে গ্রাম পুলিশের যায়গায় যবরদস্ত করে ঘর উত্তোলনের ও বসতি ঘরের পাশ থেকে মাটি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কুট্টি চকিদার বাড়ির আসুলী মৌজার এসএ ১৭২ ও ৬২নং খতিয়ানের ৪৭৪ ও ৪৭৫ দাগে খরিদীয় সম্পত্তিতে দীর্ঘ দিন যাবত বাড়ি ঘর নির্মান করিয়া ভোগ দখলে আছে মৃত আবুল হাসেমের ছেলে গ্রাম পুলিশ কুট্টি মিয়া চৌধুরী।
হঠাৎ করে তার বড়ো ভাই ইউসুফ ঝান্টু এই জমি দখলের জন্য উঠে পড়ছে, এ নিয়ে তার সাথে জমি বিরোধ হলে এই জমি সংক্রান্তে সুবিচার পেতে ২০২১ সালে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন কুট্টি মিয়া (মামলার মোকদ্দমা নং-১৯৮/২০২১খ্রি)। এই বিরোধীয় জমির উপর স্থিতিতাদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিয়া গত ২৬ জানুয়ারি বুধবার দিবাগত রাতের আঁধারে ঘর উত্তোলন করেন ইউসুফ জান্টু। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই জমিতে টিনের ঘর নির্মাণ করছেন ইউসুফ ঝান্টু।
ইউসুফ ঝান্টু মানছেন’ই না বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা, থেমে নেই তার জবরদখলের কাজ। ১৪’ই মার্চ সোমবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ কুট্টি মিয়া চৌধুরীর বসতিও ঘরের পাশ থেকে জবরদখল করে মাটি নিয়ে ভরাট করছেন সেই ইউসুপ ঝন্টুর ছেলে নয়ন, আকবার ও তার তিন কন্যা সহ তার পুত্রবধু তার সঙ্গে সহযোগীতায় ছিলেন জাহাঙ্গীর হাওলাদার। ভুক্তভোগী বাঁধা দিতে গেলে তাকে দা, বটি ও মামলা হামলার ভয় দেখালে নিরুপায় হয়ে সেখান থেকে চলে আসেন কুট্টি মিয়া।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কুট্টি মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আদালতের স্থিতিতাদেশ অমান্য করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে জোড় ঝুলুম ও ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে ঘর নির্মাণ করছেন ইউসুফ জান্টু। এ বিষয়ে আমি লালমোহন থানায় অভিযোগ করিলে লালমোহন থানার এসআই আবু কালাম ও কনষ্টেবল মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা যাচাই করেন।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জমি সংক্রান্ত এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি পরে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।