ভোলায় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু
বিশেষ প্রতিনিধি।
সারাদেশের ন্যায় ভোলা জেলার সাত উপজেলায় একযোগে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলায় প্রথম দিন সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার সস্ত্রীক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ডা. খাদিজা বেগম টিকা গ্রহন করেছেন।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের বিহঃবিভাগে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক।
প্রথম টিকা নিয়ে ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, জেলায় প্রথম টিকা গ্রহন করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছি এখন আমি নির্ভয়ে সব কাজ করতে পারব। এ সময় তিনি আরও বলেন, ঔষধের যেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে তেমন টিকারও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। টিকা গ্রহনের পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হয়তো কারো একটু জ্বর বা হাত ব্যথা অনুভব হতে পারে। তবে এতে ভয় পাওয়া বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঔষধ সেবন না করলেও এসব সমস্যা এমনি দূর হয়ে যায়। তাই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে সকলের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহন করা উচিৎ বলেও জানান তিনি।
এসময় পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, সিভিল সার্জন ডা. রেজাউল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম, বিশ্ব-স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. হাসনাইন আহমেদেসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. রেজাউল ইসলাম জানান, জেলায় মোট টিকার ডোজ এসেছে ৬০ হাজার। এই টিকার ডোজ প্রতিটি উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে সরকারি নির্দেশনামাফিক কাজে ফ্রন্ট লাইনাররা আগে টিকা পাবেন। এর মধ্যে চিকিৎসক, সেবিকা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সী জনসাধারণ অগ্রাধিকার পাবেন।