মাদ্রাসা বন্ধ তারপরেও উড়ছে জাতীয় পতাকা রাষ্টীয় অবমাননা দেখার যেন কেউ নেই।
মিলি সিকদারঃ
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা শান্তির হাট দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় দিনের পর দিন চলছে শিক্ষা কার্যক্রমের নানা অনিয়ম। নির্দিষ্ট সময়ের আগে মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে বাসায় চলে যান শিক্ষকরা।মানুষ গড়ার কারিগররা দিনের পর দিন দিব্যি ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দশম শ্রেণির এক ছাএ জানায়, শিক্ষকরা তাদের কে প্রায় সকাল ১১ টায় ছুটি দেয়।বিদ্যালয়ের সময় সূচি টাইমে শিক্ষকরা প্রায়ই উপস্থিত থাকে না।মনির নামে এক এলাকাবাসী জানান মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আবি আব্দুল্লাহ থেকে শুরু করে সহকারী কিছু শিক্ষকরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস সমূহ নেন না। ফলে আমাদের এলাকার শিক্ষানিবেশ ছাএ ছাএীরা শিক্ষার আলো থেকে পিছিয়ে পড়ছে।গনমাধ্যম কর্মীরা বিষয়টির খোঁজ খবর নিতে মাদ্রাসায় গেলে দেখতে প্রায় মাদ্রাসার শিক্ষকরুম সহ প্রত্যেকটি শ্রেনীকক্ষ তালা দেওয়া অথচ মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে পত্পত্ করে উড়ছে জাতীয় পতাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক গন্যমান্য ব্যাক্তি জানান,এই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আবি আব্দুল্লাহ মাদ্রাসা মধ্যে খনকারি করে তার সাথে সব সময় একটা বড় কালো ব্যাগ থাকে। তিনি আরো বলেন সহকারী সুপার ইয়াহিয়া মাদ্রাসার ক্লাস চলাকালীন সময়ে দশম শ্রেণির ছাএ ছাএিদের টিউশন পরাচ্ছে। এই মাদ্রাসা কিছু শিক্ষকরা ক্ষমতা জের ধরে প্রায় অনুপস্থিত থাকে।এতে ব্যাহত হচ্ছে মাদ্রাসার কার্যক্রম। অনিয়মিত পাঠদানের কারনে মাদ্রাসা থেকে ঝরে যাচ্ছে ছাএ ছাএীর সংখ্যা।সংবাদ কর্মীরা এই ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আওলাদের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক শুনলে কল কেটে দেয় ওনাকে মুঠোফোনে না পেয়ে ওনার বাড়িতে গেলে, তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আবি আব্দুল্লাহ এর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি এড়িয়ে যান। বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে শ্রীঘই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্হা নেয়া হবে।