ভোলার বোরহানউদ্দিনের শিক্ষক স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পরেও পুনরায় অবৈধভাবে চাকরিতে যোগদান করেছে।

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৪:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২২

মিলি সিকদারঃ

ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ২ নং সাঁচড়া ইউনিয়নের ৭২ নং (পূর্বের ০৬ নং) দক্ষিণ দেউলা শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পারিবারিক কারণে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের আবেদন পএে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বোরহানউদ্দিন এর সামনে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর করেন । উক্ত অবসর গ্রহন পএ স্মারক নং ৪৩, তারিখ ০৪/০২/২০২১ ইং।পরবর্তীতে গত ২৮/০৬/২০২১তারিখে বোরহানউদ্দিন উপজেলা শিক্ষা অফিসার উক্ত বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে অবগত করেন পত্রের মাধ্যমে যার স্মারক নং ৩৭৫।গণমাধ্যমকর্মীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিপার কাছে ঐ শিক্ষকের পুনরায় যোগদানের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি জানান,কাগজ পএ শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখেন আমাদের কাছে নেই। নাসির উদ্দিন চাকুরীতে সহকারী শিক্ষক হিসাবে প্রথম যোগদান করেন ০১/০১/১৯৮৭ ইং তারিখে। এবং জাতীয় করন হয় ০১/০১/২০১৩ ইং তারিখে। চাকুরীর বয়স যোগদানের তারিখ হতে স্বেচ্ছায় অবসরের তারিখ ০৪/০২/২০২১ ইং তারিখ পর্যন্ত মোট ৩৪ বৎসর – ০১ মাস ০৪ দিন চাকরি করেন। দীর্ঘদিন এই শিক্ষক তার চাকরিতে অনুপস্থিত ছিলেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসির উদ্দিন গত ০১/০৮/২২ ইং তারিখ হতে পুনরায় বহাল তবিয়তে আছেন। এমনকি শিক্ষক হাজিরা খাতায় এই শিক্ষকের স্বাক্ষর দেখা যায়। এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সহকারী শিক্ষক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমিনুল হক এই ভুল করেছেন, কাগজে যে স্বাক্ষর তা আমার না।পুনরায় যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সভাপতি আক্তার হোসেন নির্দেশে তিনি পুনরায় আবার যোগদান করেছেন। এই ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন সংবাদকর্মীদের জানান নাসিরুদ্দিন স্যার সেচ্ছায় অবসর গ্রহন করেছেন । আর একজন সরকারি চাকরিজীবী ধারাবাহিকভাবে তার কর্মস্থলে প্রায় ০১ বছর ০৬ মাস অনুপস্থিত থাকার পরও কিভাবে পুনরায় চাকরিতে যোগদান করেন এই ব্যাপারে তার জানা নেই। তবে ইতিমধ্যে আমি জানতে পারি যে স্কুলে নাসির উদ্দিন আবার যোগদান করেন বিষয়টি নিয়ে তার কাছে জানতে চাইলেন তিনি বহালের কোন কাগজ আমাকে দেখাতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার পরেও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মহলে বিভাগীয় দুর্নীতিমূলক নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যাহা জাতীয় স্বার্থের সংশ্লিষ্ট। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন সিভিল সার্জন মহোদয় ফিট সনদ দিয়েছেন এবং জেলা শিক্ষা অফিসার তাকে যোগদানপত্র দিয়েছেন। যোগদান পত্রের সকল কাগজপত্র আমি জেলা শিক্ষা অফিসের প্রেরণ করেছি। ওই শিক্ষকের যোগদানপত্র গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সে বিষয়ে আমি অবগত না।বরিশাল প্রাথমিক শিক্ষা উপ বিভাগীয় পরিচালক মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, কোনো শিক্ষক স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে তার পুনরায় চাকরিতে বহাল থাকার কোনো সুযোগ নেই।