ভোলার দুলারহাটে স্ত্রীর পরিবারের কাছে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে অসহায় স্বামী।
মোঃ সাইফুল ইসলাম-(জিহাদ), নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভোলার-চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নে স্ত্রীর পরিবারের হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে অসহায় স্বামী মোঃ সুমন(২৩)।
ঘটনাটি ঘটে, ১৩’ই এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৮ ঘটিকার সময় চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মালেগো বাড়ির কালু-মালের পরিবার তার ছোট মেয়ে বিউটি বেগমের স্বামী সুমন(২৩) কে পিটিয়ে আহত করে অজ্ঞান করার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী সুমন।
ভুক্তভোগী সুমন জানান, আমার বাড়ি লালমোহন থানার গজারিয়া ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে ৪নং ওয়ার্ডে আনর-আলী ব্যাপারী বাড়ী ও খট্টোইরাগো বাড়ী। আমি দুলারহাট থানা নীলকমল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মালেগো বাড়ির কালুমালের ছোট মেয়ে বিউটি বেগমের সাথে আমার ১ বছর হয়েছে বিয়ে হয়। আমি বরিশালে কাঁচামালের ব্যবসা করি। আমি কাজের উদ্দেশ্যে বরিশালে গেলে আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যায় এবং কিছুদিন পর আমাকে ফোন করে বলে তুমি এসে আমাকে আমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যাও। আমার কাজ শেষে আমি তাদের বাড়ির উদ্দেশ্য বরিশাল থেকে রওনা হই। বরিশাল থেকে আমার শ্বশুর বাড়ি পৌঁছাতে সন্ধ্যা ৭ টা বেজে যায়, তখন আমি আমার শ্বশুর-শাশুড়ীর সাথে কথা বলে আমার স্ত্রীকে বলি চলো এবার বাড়ি যাই। আমার স্ত্রী বলে যাবোনা এর মধ্যে তার সাথে আমার কিছু কথা কাটাকাটি হলে, আমার স্ত্রীর ভাই মোকছেদ, নিজাম, জাহেদ ও তাদের বোন রুজিনা ও সুজিনা সহ আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং আমার সঙ্গে থাকা ৫৬ হাজার ৪৪০ টাকা তারা নিয়ে যায়, তার পরে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি হাসপাতালে রয়েছি এবং আমার বাবা-মা সেখানে উপস্থিত রয়েছে।
এ সম্পর্কে ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আমার ছেলেকে যখন তার শশুর বাড়ির লোকেরা এলোপাতাড়ি মারধর করে তখন স্থানীয় এক ব্যক্তি আমাকে ফোন করে বিষয় গুলো জানান। পরে আমি দুলারহাট এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ঘটনা স্থলে যেয়ে দেখি আমার ছেলে অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। তখন আমরা তাকে দুলারহাট হাসপাতলে নিয়ে যায়।