বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমিতি গঠিত।
নিউজ ডেস্কঃ
আমাদের বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ,জনসংখ্যা ও পুষ্টি কার্যক্রম, গর্ভবতী মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা,শিশু ও গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু রোধে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরটিতে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত লক্ষাদিক কর্মচারী অবহেলিত ও নিমর্জিত। পর্যায় কর্মরত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ সহকারী দুটি পদে আজও পদোন্নতি নেই, বেতন গ্রেডে খুবই নিম্নমানের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ১৬ গ্রেড ও পরিবার কল্যাণ সহকারী ১৭ গ্রেড। আজও শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে নিম্ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এইচএসসি পাশ এবং পরিবার কল্যাণ সহকারী এসএসসি পাস ।। এই দুটি পদে রাখা হয়নি কোন অফিসিয়াল শৃঙ্খলাও এবার পরিদর্শকদের তাদের অধিনস্থ পরিবার কল্যাণ সহকারীগন ভাই বা আংকেল বলে ডাকে। এমনি দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে অনেক পরিবার কল্যাণ সহকারীগন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকদের নাম ধরে ডাকে আবার তুমি তুমিও বলে,নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক দুঃখ করে জানান এগুলো কোন অফিসিয়াল ভাষা হতে পারে না। এখানে নেই কোন দাপ্তরিক শৃঙ্খলা?? নানা বৈষম্য ও নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত এবার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের ন্যায্য দাবি আদায়ের অত্যন্ত গঠনতান্ত্রিক ও সক্রিয়ভাবে গত ১১ ই মার্চ গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি। ৩৭ সদস্যের এই আহবায়ক কমিটি প্রধান আহ্বায়ক মোঃ সোহেল এবং সদস্য সচিব আলমগীর মজুমদারের নির্বাচিত করে হয়। এ আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তপক অর্পণ করে এই কমিটির পদযাত্রা শুরু হয় ।।
বিষয়টি নিয়ে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা সমিতির আহবায়ক সোহেল হোসেন এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকদের এসব দুরবস্থা দেখার যেন কেউ নেই। আমরা সারা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় অচিরেই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা করবো। সংগঠনটির গঠনতন্ত্র তৈরি করে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাব ওদের মূল লক্ষ্য দাবি আদায়। গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে সকল পরিদর্শকদের এক হওয়ার আহবানও তিনি জানেন।
বিষয়টি নিয়ে সব্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আলমগীর মজুমদারের সাথে আলাপ যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাদের এই পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমিতিটি পর্যায় কর্মরত সকল বন্ধুদের দাবী আদায়ে কাজ করবেন। আমরা ইনশাআল্লাহ আমাদের লক্ষ্য দাবী আদায়ে এগিয়ে যাব। আমাদের প্রথম কাজ আমরা সুসংগঠিত হওয়া। এরপর থেকে ধাপে ধাপে আইনি লড়াইসহ গঠন তান্ত্রিক নিয়মে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ ।।
বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক জাকির হোসেনের নিকট আলাপকালে তিনি জানান, আমাদের ৬টি দাবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৬টি দাবি আদায়ে। এই কমিটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করবে।
৬টি দাবি হলোঃ- ১.নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর করা এবং বেতন গ্রেড পরিবর্তন করা।
২ সিনিয়র পঃপঃ পরিদর্শক একটি পদসৃষ্টি করা এবং প্রতি ৮ বছর পর পর উক্ত পদে পদায়ন জারি করা।।
৩. ১০ বছর পর পর সিনিয়ন fpi থেকে পরীক্ষা পদ্ধতি আলোকে পদ উন্নতি বিধান রাখা!
৪. ১০ বছর পর পর সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে ৪০% পদউন্নতির বিধান রাখা।
৫.পরিদর্শকদের পূর্ণ মর্যাদা প্রদান করা
৬. ইউনিয়ন ভূমি অফিস, কৃষি অফিসের ন্যায়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিদর্শকদের নিজেস্ব কার্যালয় ও ক্ষমতা প্রদান করতে হবে ।।