ভোলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা, টাকা ছিনতাই ॥ আহত-৩

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২১

 

ভোলা প্রতিনিধি।।

ভোলা সদর উপজেলার উওর দিঘলদী ইউনিয়নের রাড়ি হাট বাজারে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রকাশ্যে হামলা ও নগদ অর্থ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

গত শনিবার (১৪ আগষ্ট) রাত ৮ টায় রাড়ি হাট বাজারে রুহুল আমিনের চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ির মৃত আঃ রব মোল্লার ছেলে কামাল হোসেন মনু (৫৩) ফিরোজ মোল্লা ও ফারুক মোল্লা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফিরোজ মোল্লা ও ফারুক মোল্লাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং কামাল হোসেন মনু(৫৩) গুরুতর জখম হওায় কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ভোলা সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসারত আছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসারত কামাল হোসেন মনু মোল্লা বলেন, আমাদের বড় বোনের মৃত্যু একদিন পরে তার কুলখানির বাজার করার জন্য আমি ও আমার দুই ভাই রাড়ির হাট বাজারে গেলে। আমাদের উদ্দেশ্য করে ৬নং ওয়ার্ড আবদু হাওলাদার বাড়ির মৃত তছির আহম্মেদ এর ছেলে মিঠু হাওলাদার, দিদার হাওলাদার নেতৃত্বে জুম্মান, মাশরাফি, নজরুল গংরা অহেতুক ভাবে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের উপর দা, লোহার রড, হাতুড়িসহ দেশিও অস্ত্রসস্র নিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় আমার বোনের দোয়া অনুষ্ঠানের মালামাল কেনার জন্য সাথে থাকা ৮০ হাজার টাকা এবং আমার ভাই ফিরোজ মোল্লার সাথে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ও স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এবং আমাদের খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে আসছে।

এ সময় আহত ফারুক মোল্লা বলেন, আমাদের উপর হামলাকারীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের হুমকি ধামকী দিয়ে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন এই মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মামলার কথা জানতে চাইলে ফারুক মোল্লা বলেন, ভোলা সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি উওর দিঘলদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মনসুর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক স¤পাদক আজিজুল ইসলাম কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিঠু হাওলাদারের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উওর দিঘলদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মনসুর বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দুই পক্ষকে নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করবো।

তবে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক স¤পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, আমাকে দুই পক্ষই বিষয়টি অবহিত করেছে। আমি দুই পক্ষকেই বসে মিমাংসার জন্য বলেছি এবং আমি উপস্থিত থেকে এর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো।

আর ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।