মেসির স্বপ্ন পূরণ করলো মার্তিনেজরা।

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:০৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২১

 

মোঃ রিয়াদ , স্টাফ রিপোর্টারঃ

একজন বিশ্বমানের গোলকিপারের অভাব সবসময়েই ছিল আর্জেন্টিনাতে। বিশেষ করে সের্হিও রোমেরো যাওয়ার পর এই অভাবটা যেন আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ফ্রাঙ্কো আরমানি, এস্তেবান আনদ্রাদা, উইলি কাবায়েরো, অগুস্তিন মার্চেসিন— কেউই সন্তোষজনক পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। এমিলিয়ানো মার্তিনেজ আসার পরে যেন সে অভাবটা ঘুচেছে ভালোভাবে।

সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে তিন-তিনটা শট আটকানো শট আটকানো থেকে শুরু করে ফাইনালে দুর্দান্ত খেলা, শেষে টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার হওয়া— মার্তিনেজের দিন কাটছে স্বপ্নের মতো।

টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার হয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজটুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার হয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ
কোপার শিরোপা জিতে তাই একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন তিনি, ‘এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার এমন স্বপ্ন ছিল। আমার বয়স যখন ১৭ তখন আমার পরিবার যেন ভালো থাকে, সে আশায় আর্সেনালে পাড়ি জমাই। আর হাজারো কষ্ট আর ত্যাগের পর আজ এই মুহূর্ত এসেছে। এই মারাকানায়!’

করোনার এই সময় কোপা আমেরিকা চলছে। জৈব সুরক্ষা বলয় খেলোয়াড়দের মানসিক শক্তি শুষে নিচ্ছে। দীর্ঘ ৪০ দিনের বেশি সময় ধরে খেলোয়াড়েরা পরিবার-পরিজনের বাইরে। খেলোয়াড়েরা এই সময় অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। মার্তিনেজও তা-ই। মাঝে মেয়ে জন্ম নিয়েছে, এখনো মেয়ের চেহারা দেখতে পারেননি।(রাজ)

ট্রফি নিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে উন্মুখ তিনি, ‘আমি এই কথা আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম। আমি আমার সদ্যজাত মেয়ের সঙ্গে এখনও দেখা করতে পারিনি। আমি এই মুহূর্তটা আমার পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করতে চাই। মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছি। অনেকেই ছিলেন যারা আমার ওপর বিশ্বাস রাখেননি। কিন্তু আমরা পেরেছি। ইতিহাস রচনা করেছি। এই মহামারীর কারণে অনেক আর্জেন্টাইন কষ্ট পাচ্ছেন। এই ট্রফিটা তাঁদের জন্য।’

তবে মার্তিনেজও জানেন, ট্রফিটা দলের অধিনায়ক মেসির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মেসির হাতে একটা শিরোপা তুলে দেওয়ার জন্য সবাই বদ্ধপরিকর ছিলেন, ‘আমি কয়েক মাস আগে বলেছিলাম, আমরা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়টিকে একটা ট্রফি উপহার দিতে চাই। আমরা আজ ট্রফিটা ওকে দিতে পেরেছি। এই জিনিসটাই ও সারাজীবন চেয়েছিল।