লকডাউনে অর্ধেক দামে বিক্রি কাচামাল! বিপাকে ব্যবসায়ী

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২১

 

মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার ভোলার কথাহ

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধও । এই চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধর মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানে হয়েছে। যা আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত পযন্ত থাকবে। সোমবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ এর আদেশ দেওয়া হয়।

কঠোর বিধিনিষেধ এর কারণে কেউ বের হতে পারছে না বাসা থেকে। কর্মহীন অবস্থানে আছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভালো নেই বাংলাবাজার কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী। যদিও তাদের সীমিত আকারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। সেই সীমিত সময়ে বিক্রি হচ্ছে না তাদের কাঁচাবাজার।
তারা এখন দিশেহারা, একদিকে যেমন বাচ্চাদের ক্ষুধার আর্তনাদ পরিবারের আর্তনাদ অন্যদিকে রাস্তায় প্রশাসনের কঠোর তৎপরতায়।

লকডাউনের আগে তাদের জীবন চলেছে সাধারণভাবে। সেই সময় তাদের পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে কঠোর লকডাউন। তাতে ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে স্বল্প আয়ের মানুষের মনে বেড়েছে দুশ্চিন্তা। কপালে চিন্তার ভাজ। দুশ্চিন্তায় তাদের রাতে ঠিক মতো ঘুম পযন্ত হচ্ছে না। কি করবে কি খাবে? এসব চিন্তায় এখন তাদের জীবনের নেই কোন হদিস ।

বাংলাবাজার শাক বিক্রেতা সেলিম সিকদার বলেন, করোনার জন্য মানুষ বাজারে কম আসে। মানুষ কম আসার কারণে শাকের দাম ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এখন অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে শাক । সপ্তাহখানেক আগেও আমরা একাধিক বার শাক এনে বিক্রি করেছি এক দিনে। কিন্তু লকডাউন একবারে যা আনি তাও চলে না। থেকে যাচ্ছে অনেক শাক।আগে (লকডাউনের) আমরা
পুইশাকের প্রতিকেজি বিক্রি করেছি ৪০ টাকা
দামে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০/২৫ টাকা দামে।

কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী মোঃ খোকন বলেন,
আগের তুলনায় কাচাঁ মালের দাম কমেছে।
বিক্রি খুবই কম। স্বল্প আয় দিকে আমাদের চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বাজারে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার জন্য মানুষের আনাঘোনা খুবই কম। লকডাউনের কারণে মানুষ বাজারে এখন খুব একটা কম আসে। আর বাজারে মানুষ কম আসলে আমাদের ও বিক্রি কম হয়।