ভোলা জেলা জজ কোর্টে নিয়োগ নিয়ে চলছে তোলপাড়।। হতাশ হয়ে পড়েছেন অনেকে

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২১

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ হাছনাইন আহমেদ।

ভোলা জেলা ও দায়ড়া জজ কোর্টে নিয়োগ নিয়ে চলছে তোলপাড় । ১৪ পদে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও ভোলায় ৩১ জনকে বিভিন্ন পদের বিপরীতে নিয়োগ পত্র দেয়া হয়েছে । ৬০,৬১,৬২,৬৩ নং অফিস আদেশে ১৪ জন প্রার্থীকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়। অপর ৬৪ ও ৬৬ নং অফিস আদেশে আরো ১৭ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এদিকে ১৭জনকে নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র গত দুই দিন ধরে শুরু হয় তোলপাড় ।

আজ বুধবার দুপুরে ভোলা জেলা ও দায়ড়া জজ এ বি এম মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান ২ এপ্রিল ও ৩ এপ্রিল জজকোর্টের নিয়োগ পরিক্ষার নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ জনকে চুড়ান্ত নিয়োগ পত্র প্রদান করা হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোন নিয়োগ পত্র প্রদান করা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে ১৪ জনের বাইরে যারা নিয়োগ পত্র পেয়েছেন তাদের ডেকে এনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্তৃপক্ষ সেই নিয়োগ পত্র রেখে দিচ্ছেন ।
জেলা ও দায়ড়া জজ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ পত্র ৬০ ও স্মারক নং ২১৩(৯) ৪/৪/২০২১ তারিখের নিয়োগ পত্রে সাঁটলিপিকার পদে ঝিনাইদহ উপজেলার মো: গোলাম নবীকে নিয়োগ পত্র প্রদান করা হয়।
অফিস আদেশ পত্র ৬১–৪/৪/২০২১ এ নিম্নমান সহকারী কাম – কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ৭ জনকে নিয়োগ পত্র প্রদান করা হয় । এরা হলেন, -ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার মোসাম্মদ আইরিন ও শাকিব আলম, ভোলা সদর উপজেলার মেহেদী হাসান, মোঃ হাসনাইন হোসেন সুজন,আমিনুল ইসলাম, মোঃ মামুন ও মোহাম্মদ আবু নাঈম।
অফিস আদেশপত্র -৬২ ও স্মারক নং ২১৫(১২) তারিখ ৪/৪/২০২১ এ জারীকারক পদে ৪ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয় । এরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মহম্মদ রুপুম মিয়া ও পারভেজ উদ্দিন ভূঁইয়া। ভোলা সদর উপজেলার মো: মামুন ও মো: জিয়াউল করিম।
অফিস আদেশপত্র ৬৩- স্মারক নং ২১৬(১০) এ অফিস সহায়ক পদে দুজনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জহিরুল হক ও গোপালগঞ্জের সুকান্ত রায়।
অপর দিকে অফিস আদেশপত্র ৬৪ নং পত্রে নিম্নমান সহকারী কাম – কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ৯ জন ও ৬৬ নং পত্রে অফিস সহায়ক পদে ৮ জন কে নিয়োগ প্রদান করা করা হয় ।
অফিস আদেশপত্র ৬৪-তারিখ ৪/৪/২০২১ এ নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ৯ জনের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরা হলেন, ভোলা সদরের ওয়াহিদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার আতিকুল ইসলাম, ভোলা সদরের মুছা কালিমুল্লাহ, ভোলা সদরের মাহফুজুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলার মোহাম্মদ জুয়েল রানা, ভোলা সদরের শফিকুল ইসলাম, বরিশালের লুৎফুন নেছা, ফখরুল ইসলাম মৃধা ও বরগুনার পাথরঘাটার গোলাম কিবরিয়া ।

আদেশপত্র ৬৬- তারিখ ৪/৪/২০২১ এ অফিস সহায়ক পদে আছেন দৌলতখান উপজেলার আব্দুল হাই, ভোলা সদরের মোঃ আল আমিন, পটুয়াখালীর সাইফুল,ভোলা সদরের হাবিবুর রহমান,লালমোহন উপজেলার শহিদুল ইসলাম, ভোলা সদরের জাকির হোসেন , মাকসুদুর রহমান ও জয়ন্ত কুমার।
এই সব নিয়োগ পত্রেও ভোলা জেলা ও দায়রা জজে নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে। যদিও আজ বুধবার ৭ এপ্রিল দুপুরে ভোলা জেলা দায়রা জজের এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪ জনে নিয়োগ পত্র তার প্রদান করা হয় বলে তিনি জানান। বাকি গুলো তার নয় তার স্বাক্ষরিত নয় ।
এদিগে মুঠোফোনে এক নিয়োগ পত্র পাওয়া এক প্রার্থীর ভাই জানান, নিয়োগ পত্র পাওয়ার পর তা আবার ফেরত নিয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ । এতে ওই পরিবারে হতাশা বিরাজ করছে। চাকরীর নিয়োগ হাতে পেয়েও ফিরত দিয়ে রাতে কেউ ঘুমাতে পারে নি বলেও জানান ।
এদিকে নিয়োগ পাওয়া ১৪ জনের অনেকেই মেডিকেল ফিটনেস রিপোর্ট না নিয়ে তড়িঘড়ি করে যোগদান করেছেন বলে জানা যায়। লকডাউনের পরে মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিবেন বলে জানান।
এই সব ঘটনায় আজ দুইদিন ধরে জজকোর্টে নিয়োগ নিয়ে ভোলার সর্ব মহলে চলছে আলোচনা সমালোচনা।