অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ভরপুর লালমোহনের “মুসলিমিয়া দাখিল মাদরাসা”
রিয়াজ মাহমুদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে ৩১শে মে বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শনে যায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকার সাংবাদিকদের একটি টিম । প্রতিষ্ঠানে ঢুকতেই নজরে আসে দাখিল নাকি আলিম মাদরাসা বিভ্রান্তি। প্রতিষ্ঠানে ছিলেন না সুপার, সহ-সুপার বা দায়িত্ব প্রাপ্ত কোনো সিনিয়র শিক্ষক।
এদিকে লালমোহন উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজারকে অভিযোগের বিষয়ে ফোনে অবহিত করে মাদরাসায় যাওয়া হয়।
উপস্থিত একজন শিক্ষকের থেকে সহ-সুপারের ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করলে তিনিও সুপারের সাথে যোগাযোগ হলে দুই ঘণ্টা যাবত অপেক্ষা করার পরেও সুপারের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে ব্যর্থ হন। এদিকে প্রতিষ্ঠানের ১৫ জন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ৮ জন শিক্ষককে উপস্থিত পাওয়া যায়।
সুপার ও তার পরিবারের বেশ কিছু সদস্যরা এখানে কর্মরত থাকায় অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা বিভিন্ন ভাবে চাপের মধ্যে থাকে, উল্লেখ্য সুপারের ভাই জামাল উদ্দিন নিয়মিত বেতনভোগী একজন সিনিয়র শিক্ষক হয়েও সে দিনের পর দিন মাসের পর মাস মাদ্রাসায় না এসেই শুধুমাত্র মাসিক বেতন-বিল স্বাক্ষর করে বিগত দশ বছর যাবৎ বেতন ভোগ করে যাচ্ছে।
জামাল উদ্দিনের কুকর্ম এখানেই শেষ নয়, সে নিয়মিত ঢাকায় থাকে এবং বিভিন্ন বীমা কোম্পানি ও নাম সর্বস্ব বিভিন্ন এনজিও’র ভূয়া প্রকল্পের নামে অধিক হারে লাভ দেখিয়ে লোকজনকে আকৃষ্ট করে নিয়োগ দেয়া ও জামানত নেয়ার মাধ্যমে সমগ্র ভোলা জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
জামাল উদ্দিনের এসমস্ত অপকর্মের বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অসংখ্যবার উক্ত মাদ্রাসার সুপার কামাল উদ্দিনের জাফরীর কাছে অভিযোগ করে কোনো সুফল পায়নি।
জামাল উদ্দিন ও সুপার কামাল উদ্দিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জানতে গিয়ে লালমোহনে দৈনিক গণমুক্তি, দৈনিক সংবাদ দিগন্ত, দৈনিক একাত্তর, অভিযোগ বার্তা, বার্তা সংযোগ ও ভোলার কথা, ভোলা টাইমস’র প্রতিনিধিরা অভিযোগের সত্যতা পায়।।