ভোলা লালমোহনে বেড়ে উঠেছে ছিঁচকে চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
মোঃ সাইফুল ইসলাম-(জিহাদ), নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভোলার লালমোহনের হাসপাতাল টু ডিজিটাল পার্ক ও কালমা ইউনিয়নে বেড়ে উঠেছে ছিঁচকে চোরের উৎপাত। এই চোর চক্রের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এই চোর চক্রটি সুযোগ পেলেই হানা দিচ্ছে বিভিন্ন বাসাবাড়ীতে, নিয়ে যাচ্ছে বাসাবাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে ব্যাটারি সহ অন্যান্য মালামাল চুরি করছে অজ্ঞাতনামা চোরচক্র। এতে এলাকাবাসির মধ্যে ফের চোর আতংক বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে এসব ছিঁচকে চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ না করায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না এসব চুরির ঘটনা।
সম্প্রতি পৌর ৬নং ওয়ার্ড হাসপাতাল সংলগ্নের আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেন শাহাবুদ্দিন মিয়া লালমোহন থানায় একটি অভিযোগ করে বলেন, আমি ঠিকাদারি ব্যবসা করি উক্ত ঠিকাদারি কাজের জন্য মক্কা ট্রেডার্স নামক একটি ট্রাফি গাড়ি আছে যাহা ছয় চাকা বিশিষ্ট যাহার গাড়ির নাম্বার- 45D1, ইঞ্জিন নাম্বার- S325J63683, চেসিস নং- MEA5E0E7YJ1198174 প্রতিদিনের ন্যায় সারাদিন মালামাল বহন করে (২০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার সময় পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড হাসপাতাল টু ডিজিটাল পার্ক কলেজ পাড়া সড়ক থেকে (২১ জানুয়ারী শুক্রবার) সকাল অনুমানিক ৬ ঘটিকার সময় গাড়ির লক কাটিয়া বোডির মধ্যে থাকা ১২ ভোল্টের ব্যাটারি নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা চোররা। যাহার মূল্য ১২০০০ হাজার টাকা। গত (২৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার) আনুমানিক রাত ২ টার সময় উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চরলক্ষী ৮নং ওয়ার্ডের মক্কু দালাল বাড়ির অসহায় রিকশা চালক ইসমাইল এর বাসার মধ্যে থাকা অটো রিক্সা থেকে ১২ ভোল্টের ৪ টি ব্যাটারি নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা চোররা। যাহার মূল্য ৪৮০০০ হাজার টাকা।
এলাকাবাসীরা জানান, বেশকিছুদিন ধরে এ এলাকায় চোরদের উপদ্রব ও বখাটে যুবকদের উৎপাত বেড়ে গেছে। ফলে সুযোগ পেলেই নানা অপরাধ প্রবণতা ঘটাচ্ছে অপরাধী চক্র। এতে বাসাবাড়ী, দোকানপাট খালি রেখে স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না এলাকাবাসী। এতে জনমনে চোর আতংক বাড়ছে। এসব ঘটনায় পুলিশকে অবগত না করার কারণে নেয়া হচ্ছে না প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ। অপরাধ প্রবণতা রোধে পুলিশী টহল বৃদ্ধিসহ এলাকায় নিরাপত্তা ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার দাবী জানিয়েছেন পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড ও উপজেলার কালমা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শান্তিতে বসবাস করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।