লালমোহনে মিষ্টি খেয়ে ১২ শিশু অসুস্থ, স্থানীয় মিষ্টি বিক্রেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ।
লালমোহন প্রতিনিধিঃ
ভোলা-লালমোহনে মিষ্টি খেয়ে ১২ শিশু অসুস্থ, স্থানীয় মিষ্টি বিক্রেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ।
(১৬ জুলাই শুক্রবার) সন্ধ্যায় ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের আনিচল মিয়ার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আনিচল মিয়ার হাট এলাকার মনপুরা বাড়ির সুজন নামে এক ব্যক্তি একটি নতুন অটোরিকশা কিনে। এ উপলক্ষ্যে সে বাড়ির ও স্থানীয় লোকজনকে মিষ্টিমুখ করায়। ওই মিষ্টি খেয়ে জুনায়েদ (২), ফারিয়া (২), ফাহিমা (৬), আব্দুল্লাহ (৩), জুনিয়া (২), হোসাইন (৫), শারুপ (৯), সিফাতুল্লাহ (৮), তামিম (৯), তানহা (৩), আচিয়া (১১) ও সোলাইমান (৩) নামে এ ১২শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে লালমোহন হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। মিষ্টি কোন দোকান থেকে কেনা হয়েছে তা নিয়ে কথা উঠে।বিষয়টি জানার জন্য সুজনকে পাওয়া যায়নি। ঔ এলাকার কিছু লোক ও রোগীর লোকজন রিয়াজের দোকানের মিষ্টি বলে জানিয়েছেন।এবিষয়ে রিয়াজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মিষ্টির দোকান চালিয়ে আসছি। এরকম সমস্যা কখনো হয়নি। আমার দোকানের মিষ্টি খেয়ে কেউ কখনো অসুস্থ হয়ে পড়েনি।সুজন কার দোকান থেকে মিষ্টি কিনেছে তা আমি জানিনা। তবে পাশের একটি মসজিদে মিলাদ হয়েছিল, তারা আমার দোকান থেকে মিষ্টি নিয়েছে। তা ছাড়া বিয়ে বাড়িতে আমার দোকান থেকে মিষ্টি গিয়েছে।এসব স্থানে মিষ্টি খেয়ে কেউ তো অসুস্থ হয়ে পড়েনি। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করতেছে। আমার পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে শত্রুতা আছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করে মিষ্টি খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পরার ঘটনাকে আমার ওপর চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেছে। আমার ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষুন্ন কারার চেষ্টা করছে। এদিকে লালমোহন হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ মহসিন খাঁন জানান অসুস্থ বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য হাসপালে আনা হয়েছে, আমি বাচ্চাদের রাতেও দেখেছি সকালেও দেখেছি তারা এখন সকলে সুস্থ। তাই তাদেরকে হাসপাতাল থেকে নাম কেটে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। এবিষয়ে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তদন্তের পর জানাযাবে।