লালমোহনে জমি বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ।

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২১

 

মোঃ সাইফুল ইসলাম-(জিহাদ), নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভোলার লালমোহন উপজেলার ৭নং পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কচুয়াখালী গ্রামের মোবারক আলী খায়গো বাড়ি জমি বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার ৭নং পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কচুয়াখালী গ্রামের মোবারক আলী খায়গো বাড়িতে (২১ এপ্রিল)২০২১, বুধবার সকাল ৮ টায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, জামাল খাঁ(৩৫), তহমিনা বেগম(৪০), নুহা আক্তার(১২) মোঃ সানজিদ(১৬) ।

ভুক্তভোগী জামাল খাঁ জানান, আমি ৭নং পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কচুয়াখালী গ্রামের মোবারক আলী খায়গো বাড়ির মৃত মোবারক আলী খাঁর পুত্র জামাল খাঁ আমার বসতবাড়ীর দক্ষিণ পাশে ভোগ দখলীয় সেচকৃত পুকুরের মধ্যে তারা মাটি কাটিতেছিল এ সময়ে আমি বাধা প্রদান করিলে, উক্ত সময়ে আমার পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রতিপক্ষ মৃত ছমেদ মিস্ত্রীর ছেলে,মোঃ মহিন (৩৮), মমিন(২১), মহাসিন(৩২) সহ তার পরিবারের নাঈম(১৯), মরিয়ম(৬৫), নিলুফা(৪৫), ফেরদৌস(৩০), জিনিয়া(৩০), পুতুল(২০) সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জন।

উক্ত সময়ে বর্ণিত আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো দা, রামদা, লোহার রড, কাস্তে, লাঠিসোটা নিয়ে একত্রিত হইয়া আমার ভোগদখলীয় পুকুরের মধ্যে অনধিকারে প্রবেশ করিয়া আমাকে মারধর করিতে থাকে ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ প্রদান করিতে থাকে। আমি তাদের গালমন্দের প্রতিউত্তর করিলে মহিন বলে এই পুকুরের জমি আমার। আমরা এই জমি ভোগ দখল করিব, আমরা বাঁচিয়া থাকিতে তোদের এই পুকুরের জমি ভোগ করিতে দিবো না। তুই বেশি বাইড়া গেসস, তোরে মাইরা হাড়গোড় ভাঙ্গিয়া দিলে সোজা হইয়া যাবি। এ কথা বলিয়া মহিন হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া জোরে আঘাত করিলে আমি মাথা সরাইয়া নিয়া উক্ত রডের আঘাত হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করিলে ডান হাতের কনুই আঙ্গুলের হাড় ভাঙ্গা ও কব্জির হারে মারাত্মক জখম করে। অন্যান্য আসামিরা এলোপাতাড়ি মারধর করে এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে। উক্ত সময়ে আমি চিৎকার দিলে আমাকে উদ্ধার করতে তহমিনা, ও নুহা আক্তার, মোঃ সানজিদ, আগায়া আসলে তাদেরকে ও মারধোর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাক্তক ফুলা ও বেদনাদায়ক জখম করে মৃত ছমেদ মিস্ত্রির ছেলে মহাসিন, তাহমিনা বেগমের এর পরিধানকৃত কাপড় টানা হেচরা করিয়া খুলিয়া ফেলা সহ শরীরের অশ্লীলতা ঘটানোর চেষ্টা করে। আমাকে উদ্ধার করতে আসা তহমিনা এর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য ৩২ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয় মৃত ছমেদ মিস্ত্রির ছেলে মমিন ।

উক্ত সময়ে আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিয়া আমাদেরকে উদ্ধার করে।

অতঃপর আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় আমি জামাল খাঁ, ও নুহা আক্তার, লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আমরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। চিকিৎসার নিমিত্তে শরীরের সামান্য উন্নতি হইলে ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ও আমার নিকট আত্মীয় স্বজনদের জানাইয়া থানায় এজাহার প্রদান করিতে বিলম্ব হইল। আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আমার এজাহার খানা আমার ভাগিনা আঃ রাজ্জাক এর মাধ্যমে থানায় প্রেরণ করিলাম।