গণপূর্ত দপ্তরে নিয়োগ লাভ, মনপুরার কৃতি সন্তান মোঃ আলাউদ্দীন আহমেদ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোলা মনপুরার ঐতিহ্যবাহী মোল্লা পরিবারের কৃতি সন্তান,মোঃ আলাউদ্দীন আহমেদ, তার ডাক নাম শাহেদ আহমেদ।তিন ভাই-বোনের মধ্যে আলাউদ্দীন আহমেদ তথা শাহেদ আহমেদ মেঝ ও একমাত্র পুত্র সন্তান।মোঃ আলাউদ্দীন তিনি ২০০৫ সালে,মনপুরা হাজীরহাট সরকারি মডেল বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। এরপর ২০১১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক(সম্মান) এবং ২০১২ সালে বাণিজ্যে ১ম বিভাগে স্নাতকোত্তর(মাষ্টার্স) সম্পূর্ণ করেন।
এরপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরে এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট ১৭টি ভাইভা দিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি কিছুদিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় উত্ত্বীর্ণ হন দুই বার। কর্ম জীবনের প্রথমে একটি প্রাইভেট কলেজের প্রভাষক হিসেবে কিছুদিন কর্মরত ছিলেন। এরপর ডিজিটাল আইটি সলিউশন প্রধান শাখায় (সাভার বাসস্ট্যান্ড) আইটি প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এছারা আইটি নিয়ে তার সুদূর-প্রসারী চিন্তা-ভাবনা ও আছে। একাধারে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।যেমন- ইউটিউব ব্যবসায়,ইউটিউবে শর্ট ফিল্ম,মিউজিক ভিডিও ইত্যাদির সাথে জড়িত।এছারাও তিনি বিভিন্ন সময় ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলেন। এক সময় ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন পদ পদবীতেও ছিলেন।তিনি বর্তমানে ঢাকাস্থ মনপুরা ডেভলপমেন্ট সোসাইটির সাথেও জড়িত আছেন।তিনি বর্তমানে এল এল বি, ঢাকা আইডিয়াল ‘ল’ কলেজে ভর্তি থাকা অবস্থায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক ইউনিট গণপূর্ত অধিদপ্তরের (PWD) ভোলা জোনের সহকারী হিসাবরক্ষণ(Assistant Accountant) হিসেবে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভোলা জোনের সহকারী হিসাবরক্ষণ আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “অবশ্যই এটি আমার জীবনে বড় ধরনের প্রাপ্তি।”
তিনি আরও বলেন,যারা আমার এই আর্জনে,আমাকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণীত করেছেন তাদের প্রতি রইল অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। আমার পড়াশোনা চলাকালীন, আমি আমার জন্মদাতা মাতাকে হারিয়েছি,তাই এই অর্জন তাকে উৎসর্গ করলাম।
আলাউদ্দিন আহমেদ’ এর এই অর্জনে উচ্ছ্বাসিত তার পরিবার সহ পাড়া-প্রতিবেশীগন।