ভোলায় ভোক্তা অধিদপ্তরের কুঞ্জের হাটে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা
মিলি সিকদারঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কুঞ্জেরহাটে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের, ভোক্তা অধিদপ্তর ভোলা জেলা শাখার নেতৃত্বে ভেজাল বিরোধী একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ভোলা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক মোঃ মাহমুদুল হাসান। অভিযান পরিচালনা করা হয় কুঞ্জের হাটের আল মদিনা, বিসমিল্লাহ হোটেল ও রন্জন মেডিকেলে। অভিযান পরিচালনা করার সময় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিসমিল্লাহ হোটেলের খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের, বেশিরভাগ খাবার খোলা অবস্থায় পড়ে আছে। ময়দা ও ভিনেগার মেয়াদ উত্তীর্ণ। রান্না ঘরের পরিবেশ ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। খাবারে বিসমিল্লাহ হোটেলের কারিগরেরা কৃত্রিম রং মিশ্রিত করে যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাছাড়া হোটেলের ডিপফ্রিজে আগের দিনের বাসি খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া শাহ রোডের আল-মদিনা হোটেলটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন ও খাবারের মূল্য তালিকা পাওয়া যায়নি। নিম্নমানের খাবার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও খাদ্য মূল্য তালিকা না থাকার কারণে ভোক্তা অধিদপ্তর এই দুটি হোটেলকে আর্থিক জরিমানা করেছে বিভিন্ন ধারায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাস্টমার জানায়, এই দুটি হোটেলের খাবার অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে পরিবেশন করা হয়। খাদ্য মূল্য তালিকা না থাকায় বিসমিল্লাহ হোটেল ও আল-মদিনা হোটেলের গ্রাহকের কাছে কাছ থেকে গলাকাটা দাম চড়া মূল্য রাখে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান হোটেলগুলোতে ছোট ছোট কাঁচ দিয়ে ঘেরাও দেওয়া রয়েছে। এই রুমগুলোতে খাবারের নামে চলছে ছেলেমেয়েদের অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকান্ড। তদন্ত সূত্রে জানা যায় এই কাঁচের তৈরি রুমগুলোতে সন্ধ্যার পরে চলে কাচিয়ার জ্বিন প্রতারকদের রমরমা আড্ডা। ভোক্তা অধিদপ্তর কুঞ্জের হাটে এর বিভিন্ন ঔষধের দোকানে অভিযান চালায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল পাওয়া যায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ থাকার কারণে রঞ্জন মেডিকেলের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের ভোলা জেলার শাখার সহকারী পরিচালক মো:মাহমুদুল হাসান জানান আমাদের ভেজাল বিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।