খুলনা সিটি নির্বাচনে দীর্ঘ লাইন ভোটারদের সকাল থেকেই
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে এর আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে ভোটারদের লাইন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে খুলনা নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ন্যাশনাল গার্লস হাই স্কুল কেন্দ্রে। ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সে সময়ই তৈরি হয়েছে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন।
এই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন মারুফা বেগম। তিনি বলেন, ‘সকালে ভোট দিতে এসেছি। এ সময় ভিড় একটু কম থাকে।’
নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও দেখা গেছে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। ভোটার লতিফা বেগম বলেন, ‘সারাদিন অনেক কাজ থাকে। তাই সকালেই ভোট দিতে এসেছি।’ এই কেন্দ্রে প্রথম ঘণ্টায় ৯৪ ভোট পড়েছে। এখানে মোট ভোটার ১ হাজার ৭০৩ জন।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নিলয় মল্লিক জানান, কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ন্যাশনাল গার্লস স্কুল পুরুষ কেন্দ্রে প্রথম ঘণ্টায় ১২০ ভোট পড়েছে। প্রিজাইডিং অফিসার তন্ময় বসু জানান, এখানে মোট ভোটার ২ হাজার ৩২২ জন। ভাট কাস্টিং হার ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ন্যাশনাল গার্লস স্কুল মহিলা কেন্দ্রে প্রথম ঘণ্টার ১০৬ ভোট পড়েছে। প্রিজাইডিং অফিসার এমএ কুদ্দুস জানান, এখানে মোট ভোটার ২ হাজার ২৯৯ জন। কাস্টিং হার ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
খুলনায় ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
এই সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের এসএম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকের এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।
এ ছাড়া ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুই জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যমতে, খুলনার প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি ও কেন্দ্রের সুবিধাজনক স্থানে দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলো মোট ২ হাজার ৩১০টি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে।