চরফ্যাশন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দূর্নীতির অভিযোগ

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩

 

 

মিলি সিকদার ঃ ঘুষ- দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শিক্ষকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন দুর্নীতিবাজ এই শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, উৎকোচ ছাড়া কোনো কাজ হয় না প্রাথমিক অফিসে। কোনভাবেই মিলছে না এর প্রতিকার। ধাপে ধাপে বাড়ছে তার উৎকোচ বাণিজ্যের চাহিদা।

গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত তার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্ৰহন করেনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। দিন দিন বেড়েই চলেছে তার ঘুষ ও দুর্নীতি বাণিজ্য। শিক্ষা কর্মকর্তা বিরুদ্ধে সুস্পষ্ঠ ঘুষ-দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ।

চরফ্যাশন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতসহ নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা হতাশায়। প্রধান শিক্ষক মোঃ  বাবলু, মোঃ নাছির উদ্দীন, মোঃ কামাল উদ্দীন, মোঃ আব্বাছ উদ্দিন, নির্মল চন্দ্র দাস সহ আরও অনেকেই অভিযোগ করেন তার দূর্ণীতির বিরুদ্ধে। এছাড়াও অনলাইনে শিক্ষক বদলীর নে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।এসব বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ভূক্তভোগী শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন।তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের এযাবৎ তদন্ত হয়নি। জানা গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার রয়েছে ঘনিষ্টজন।
অভিযোগগুলোর সূত্রে জানা যায়,সরকারীভাবে চরফ্যাশন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের নামে ২০২১-২০২২ইং অর্থবছরের ক্ষুদ্র মেরামত কাজের বিভিন্ন বরাদ্দ আসে। এর মধ্যে ১০২ টি বিদ‍্যালয়ের নামে ২ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ আসে। ৬টি বিদ‍্যালয়ের নামে নীড বেজ বাবদ বিদ্যালয় প্রতি বরাদ্দ আসে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ২১৩ টি প্রতিষ্টানের নামে স্লিপ বরাদ্দ বাবদ বিদ‍্যালয় প্রতি ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। ২১২ টি বিদ‍্যালয়ের নামে প্রাক- প্রাথমিক বরাদ্দ বাবদ বিদ‍্যালয় প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। ২১২টি বিদ‍্যালয়ের নামে কোভিডকালে বিদ‍্যালয় প্রতি ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। ওয়াস ব্লক বাবদ বিদ‍্যালয় প্রতি ১০ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ আসে।

এসব বরাদ্দের টাকা দেখবাল করার কেউ নেই, বরং বরাদ্দ কৃত টাকা উত্তোলন করতে হলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয় বিদ‍্যালয় প্রতি ১০ হাজার টাকা। নীড বেজ থেকে বিদ‍্যালয় প্রতি ৭ হাজার ৫ শ’ টাকা। রুটিন মেইনটেন‍্যান্স থেকে বিদ‍্যালয় প্রতি ২ হাজার টাকা। প্রাক- প্রাথমিক থেকে ৫শ’ টাকা। ওয়াসব্লক থেকে বিদ‍্যালয় প্রতি ৫শ’ টাকা। মহামারী কোভিড -১৯এর সময়ে বরাদ্দ থেকে বিদ‍্যালয় প্রতি ৫ শ’ টাকা। টাকা দিলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোশাররফ হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার অফিসারের প্রত‍্যায়নের মাধ্যমে কাজের মান সন্তোষজনক এই মর্মে প্রত‍্যায়ন সংযুক্ত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে আবেদনের মাধ্যমে চেক প্রদান করলে বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করা হয়।

চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলাম বলেন, মেরামত বা সংস্কারের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন করছি এবং নিবির পর্যবেক্ষণে কাজগুলো সম্পন্ন করি। তিনি আরও জানান, প্রকল্পের কাজে কোন শিক্ষকের কাছে থেকে আমি কোন টাকা নেইনি।আমার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অভিযোগ সত্য নয়।