হাসনাইন আহমেদ সিদ্দিকী (রহ:)’র মৃত্যুতে মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছের শোক

ভোলার কথা
বিশেষ প্রতিনিধি সম্পাদক
প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত আবু বকর (রা:) এর বংশধর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাসনাইন আহমেদ সিদ্দিকী (রহ:)’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ।

সোমবার সন্ধ্যায় এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, ভোলা তথা দক্ষিণাঞ্চলের ধর্মীয় আধ্যাতিক পুরুষ, ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত আবু বকর (রা:) এর বংশধর ছিলেন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাসনাইন আহমেদ সিদ্দিকী (রহ:)। তিনি জৈনপুরী পীর সাহেবদের সিলছিলার অন্যতম খলিফা ছিলেন। সোমবার ভারতের জৈনপুরী এলাকার নিজ বাড়ীতে মৃত্যু বরণ করেন হাসনাইন আহমেদ সিদ্দিকী (ইন্নালিল্লাহি—–রাজিউন)। তার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এছাড়া শোক সন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্যদের ধৈর্য্য ধারন করার তাওফিক দান করুন। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন মরহুমকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।

শোক বার্তায় তিনি আরো বলেন, ভোলাকে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য ১৯৯৭ সালে ইলিশা, ধনিয়া, কচিয়া ও শিবপুর বেড়ী বাঁধ রক্ষায় তৎকালীন সময়ে জাতীয় বন্ধুজন পরিষদের উদ্যোগে ১ হাজার ৫শ’ আলেম এবং প্রায় ৫০ হাজার জনগণের উপস্থিতিতে বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। যার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ। যা ভোলাবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। মহান আল্লাহ তায়ালার কুদরতে ওই দোয়া মোনাজাতের পর থেকে ভাঙ্গন কবলিত ওই সকল অঞ্চলে এখন তেমন একটা ভাঙ্গন দেখা যায় না।

কিন্তু বর্তমান সময়ে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে, যেখান থেকে বালু উত্তোলন করার কথা, সেখান থেকে উত্তোলন না করে নদীর কুল (কিনার)’র দিক থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যার কারণে ওই সকল স্থান দিয়ে নদীর পাড় ভাঙ্গনের হুমকি দেখা দিয়েছে। এ বালু দস্যুতা থেকে পরিত্রানের মাধ্যমে ভোলাকে রক্ষার জন্য সর্বস্তরের সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা, সমর্থন ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।