লালমোহনে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী বৃদ্ধ স্বামীকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২১

 

লালমোহন প্রতিনিধিঃ

ভোলা লালমোহনে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী বৃদ্ধ স্বামীকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পিতার পক্ষে বিচার দাবি করায় সৎ-মা ও তার ভাই মিলে তিন সন্তানকে পিটিয়ে আহত করে। উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডে ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ও রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পাঙ্গাশিয়া গ্রামের বৃদ্ধা হাকিম আলীর প্রথম স্ত্রী নুর জাহানের মৃত্যুর পর সদর ইউনিয়নের ফুল বাগিচা গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের ভুট্টুর মেয়ে আরজুকে বিগত ২২.১১.২০১৯ তারিখে বিবাহ করেন।
তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান হয়। বিয়ের পর থেকে হাকিম আলীর আগের ছেলেমেয়েদেরকে আরজু সহ্য করতে পারে না। তাদেরকে সংসার থেকে তাড়িয়ে দেয়। তারা তাদের মতো করে ঘর তুলে সংসার করছে। আরজুর নামে জমি দলিল দেয়ার জন্য হাকিম আলীকে চাপ দেয়। কথায় কথায় দুর্ব্যবহার করে মারপিট করতে ধরে। কয়েকদিন আগে আরজু তার সৎ-ছেলে সোহাগের ঘর ভাংচুর করে। তাকে ওই বাড়ি থেকে নেমে যেতে বলে। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালে তারা ফয়সালার আশ্বাস দেন। আরজুর নামে জমি দলিল কেন দেয় না, সতীনের সন্তানেরা বাড়ি ছেড়ে চলে যায় না কেন এবং তার নামে বিচার কেন বসায় এজন্য আরজু রাতে তার স্বামী হাকিম আলীর গলা টিপে ধরে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে হাকিম আলী ও তার সন্তানেরা থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসার পর বেড়ির উপর হাকিম আলীকে ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় আরজু মারপিট করতে ধরে। গায়ে হাত তোলে। লোকজনে ছাড়িয়ে দিলে হাকিম আলী তার ছেলেদের নিয়ে গজারিয়া বাজারে এলে আরজু, তার ভাই সেলিম ও সেলিমের স্ত্রী রীনাসহ আরো লোকজন নিয়ে হাকিম আলী, তার ছেলে সাহাবুদ্দিন, সোহাগ ও আলা উদ্দিনকে বেদম মারপিট করে। গজারিয়া বাজারের ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য লোকজন তাদের উদ্ধার করে। একপর্যায়ে আরজু ও তার ভাই সেলিম বেপরোয়া হয়ে আরো মারপিট করতে চাইলে তারা জনরোষে পড়েন। তখন সেলিম তার বোনকে কিল ঘুষি লাথি মারে। হাকিম আলী ও তার ছেলেদের নামে মামলা দিবে বলে হুমকি ধামকি দেয়। মারপিটের সময় হামলাকারীরা আহতদের সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
গত ২৭.০৭.২০২১ তারিখে হাকিম আলী বাদী হয়ে বেপরোয়া আচরণের কারণে স্ত্রী আরজু বেগমের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় জিডি করেন।
পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান মিয়া ও বাজারের পান দোকানদারসহ প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ হাটের মধ্যে মহিলাসহ কয়েকজন লোক এদেরকে মারপিট শুরু করে। জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরে আমরা ছাড়িয়ে দেই। মহিলাকে তার ভাই কির ঘুষি লাথি মারে। আর বলে তোকে পিটিয়ে ওদের বিরুদ্ধে মামলা দিমু।
এটি আরজুর বেগমের চতুর্থ বিয়ে বলে জানান। হাকিম আলী জানান, বিয়ের পর থেকে উনি আমার সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করতেছে। আমার অবাধ্যে চলাফেরা করে। আমাকে ও আমার সন্তানদের সাথে খারাপ আচরণ করে। তার নামে জমি দলিল দিতে বলে। আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। এজন্য আমি তাকে ১ আগস্ট রবিবার তালাক দিয়ে দিছি।