বলাৎকারই এ মাওলানা ইসমাইল শিক্ষকের নেশা!

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ ভোলার মনপুরায় একাধিক শিশু ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাওলানা ইসমাইল (৩০) নামে কওমি মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইসমাইল চর ফয়জুদ্দিনের হাজির হাট ইউনিয়নের মজিবুল হক মাতাব্বরের ছেলে এবং মনপুরা হামিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক।

জানা যায়, হামিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতি ইসমাইল এ পর্যন্ত চার জন ছেলেকে বলৎকার করেন। এর মধ্যে
মাস্টার হাটের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে মো. হাসনাত, সিদ্দিকুরের ছেলে মো. মাছুম, চর জহরুদ্দিনের মো. তামিম ও ফরহাদ হোসেনের ছেলের আব্দে রাব্বিকে পর্যাক্রমে তিনি বলৎকার করেন।

সর্বশেষ আবদুল রাব্বিকে বলাৎকার করার পর হাতে নাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর সেটাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য তার ছোট বোনকে বিবাহ করেন।

ভুক্তভোগী শিশু হাসনাতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মাস্টার হাট এলাকার ১১ বছর বয়সী ওই শিশু এক বছর ধরে হিফজ শাখায় পড়াশোনা করে আসছে। মাদরাসার আবাসিক ছাত্র হওয়ার সুবাধে শিক্ষক ইসমাইল প্রায়ই তাকে জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন (বলাৎকার) করতেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্রটি পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। পরে স্বজনরা তাকে পুনরায় মাদরাসায় দিয়ে যান। ঘটনা জানাজানি হলে মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষকরা তাকে চিল্লায় যাওয়ার জন্য বলেন। তিনি চিল্লায় যাবেন বলে ওয়াদা করলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। এরপরও তিনি পর্যায়ক্রমে আরো তিনটি ছেলেকে বলৎকার করেন। তার এ কাজে সহকারি শিক্ষকরা প্রতিবাদ করার কারণে ক্ষমতা বলে মাদ্রাসা থেকে তাদের বিদায় করে দেন।

হামিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার সভাপতি জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই বলৎকারের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে এলকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে বার বার সতর্ক করা হলেও তিনি এ জঘন্য কাজ করেই যাচ্ছেন। তাকে বিয়ে করার পরামর্শ দেয়াও হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের সাথে ঝগড়া হয়।

মাওলানা মাকসুদুর রহমান জানান, মাওলানা ইসমাইল দীর্ঘদিন ছাত্রদের সাথে বলৎকার কাজ করে আসছে। বিষয়টা নিয়ে প্রতিবাদ করলে এ পর্যন্ত ১০ জন শিক্ষকে তিনি বিদায় করেন। বিষয়টি মাদ্রসা কমিটিকে জানানো হলে তারা মাওলানা ইসমাইলকে ৩ মাসের মাধ্যে বিয়ে করার ও রাত্রে তিনি মাদ্রাসায় থাকতে পারবেন না শর্তে আবারো চাকরিতে বহাল রাখেন। কিন্তু ৬ মাস অতিবাহিত হতে না হতেই তিনি তামিম ও আব্দে রাব্বি নামে দুটি ছাত্রের সাথে আবারো অপকর্ম করেন। এ কাজের ভিডিও মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক মাওলানা মিজান মোবাইলে রেকর্ড করেন এবং কমিটিকে জানান।