মনপুরায় মনির বাহিনীর সন্ত্রাসী তান্ডব, গ্রেপ্তার হয়নি মূলহোতা মনির।

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২১

 

ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা ঘটে যাওয়া মনির বাহিনীর সন্ত্রাসী তান্ডবের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামি আইুয়ুব আলী (30) লোকমান (32) গ্রেপ্তার হলেও হয়নি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মূলহোতা মনির। প্রকাশ্যে ঘুরে ফেরে বাদী পক্ষকে মামলা উত্তোলনের জন্য নানাভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন, বলে অভিযোগ করেন, আহত ছাত্রনেতা রাকিব হাসান রনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সন্ত্রাসী তাণ্ডব পরিচালনার মূলহোতা যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির ইতিপূর্বে একাধিক বার এ ঘটনা ঘটিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন।।

উল্লেখ্য ২নং হাজীরহাট ইউনিয়নের সরকার ঘোষিত হত দরিদ্রদের ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণ উপলক্ষে যে সমস্ত উপকারভোগী এখনো তাদের চাল পাইনি তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ান পরিষদের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৩০ই নভেম্বরের মধ্যে স্বশরীরে হাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে চাল আনার জন্য আঃ কাদের চৌকিদার ও মোঃ রাকিব রিকশাযোগে মাইকিং করার সময় স্থানীয় চরফৈজুদ্দিন ফকিরহাট বাজারে অবস্থান করিয়া লোকমানের চায়ের দোকানে গেলে যুবলীগ নেতা মোঃ মনিরুজ্জামান এর ছোট ভাই মোঃ আইয়ুব তার ৪টি ভিজিডি কার্ডের চাল এখোনো পায়নি বলে চৌকিদার ও রাকিবকে লক্ষ করিয়া গালমন্দ করে হঠাৎ অতর্কিতভাবে একটি চেয়ার দিয়ে মোঃ রাকিবকে সজোরে আঘাত করে এবং পরবর্তীতে মোঃ আইয়ুব তার ভাই মাহাবুব, ইউনুছ, ইউসুফ ও যুবলীগ নেতা মোঃ মনিরুজ্জামানকে মোবাইলে ডেকে এনে আঃ কাদের চৌকিদার ও মোঃ রাকিবকে লোহার রড, লাঠি, লাকড়ি কাঠ দিয়ে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এলোপাতাড়ি মারপিট করে চৌকিদারের মাথা ফাটিয়ে দেয় ও হাত ভেঙে দেয় এবং রাকিবের পা ও হাত ভেঙে দিয়ে রক্তাক্ত ফুলা জখম করে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

বিষয়টি নিয়ে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগ এসেছে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামি কোন দলের নয়। যথাসম্ভব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না অপরাধীদেরকে চিন্হিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান এই পরিবারের সকলেই জামাত শিবিরের সদস্য শুধু মাত্র মনির ছাড়া। প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা তাদের পেশা ও নেশা। তাদের জন্য এলাকায় কেউ শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা। তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে এলাকায় আরও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলাতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর আগে তারা বহু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।