সাবেক সাংসদ ও মনপুরা উপজেলার কৃতি সন্তান মরহুম মোঃ জাফর উল্ল্যাহ চৌধুরীর দশম মৃত্যুবার্ষিকী

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২১

 

মোঃ ইসমাইল, বিশেষ প্রতিনিধি

দ্বীপের রাণী ভোলা জেলার সুন্দর সবুজ শ্যামল পরিবেশে ঘেরা মেঘনা ও সাগরের কোল ঘেষে দ্বীপ কন্যা মনপুরার ঐতিহ্যবাহী সম্রান্ত ও রক্ষণশীল মুসলিম চৌধুরী পরিবারে ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহন করেন মরহুম মোঃ জাফরউল্ল্যাহ চৌধুরী (এমপি)।

তার পিতা মরহুম মোঃ হাফিজ উল্ল্যাহ চৌধুরী ছিলেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিচারের ক্ষেত্রে ছিলেন সৎ ও ন্যায়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সমাজ সংস্কারক হিসেবে ছিলেন অতুলনীয়।

তার পিতার মৃত্যুর পর তার বংশের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য তার এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে কখনো বন্ধু কখনোবা অভিভাবক এর মতো বটছায়া হয়ে পাশে গিয়ে দাড়ান। তিনি ছিলেন বিশাল মনের অধিকারী। কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। বিচারের ক্ষেত্রে ছিলেন তার পিতার মতই ন্যায় ও সৎ বিচারকের প্রতীক।
জনমুখে জানা যায়, কখনো কোন ব্যাক্তি তার কাছে এসে খালি হাতে ফিরে যায়নি। তার মিষ্টি মুখের মিষ্টি হাসিতে সকলের সকল সমস্যার সমাধান দিতেন। কর্ম জীবনে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও সাহসী অফিসার।

এলাকাবাসীর সমর্থনে ও ভালবাসার শক্তিতে ১৯৯৪ সালে ভোলা-৪ আসন(চরফ্যাশন-মনপুরা) থেকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

পরবর্তিতে, তিনি এলাকার আরো উন্নয়ন মূলক কাজ করেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য তার নির্বাচনী এলাকায় কলেজ, স্কুল স্থাপন করেন। ধর্মীয় ক্ষেত্রেও তার অবদান অতুলনীয়। ইসলাম ধর্মালম্বীদের জন্য বিভিন্ন মসজিদ স্থাপন, মসজিদের জমিদান ও সংস্কার করেছেন। পাশাপাশি করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরও জন্য। এলাকার জনগনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য তিনি নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করেছেন।

টানা কয়েক বছর অসুস্থ থাকার পর হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে ঢাকা হলি ফ্যামিলেতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিপুল সংখ্যক লোকের জানাজার নামাজের পর তাকে ঢাকা বনানী কবরস্থানে তার পিতার কবেরর সাথে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

মৃত্যু সময় তার মা,স্ত্রী, ২ পুত্র,১ কন্যা, ২ বোন সহ আরো বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তার সহধর্মিণী জনাবা মিসেস,সেলিনা আক্তার চৌধুরী তার স্মৃতিকে ধরে রেখে বিপুলসংখ্যক জনগনের ভালবাসা ও সমর্থনে ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো ও ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মনপুরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।