ভোলায় টিকা কার্যক্রমে কাজ করছে রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১

 

স্টাফ রিপোর্টার

ভোলায় টিকাগ্রহণে আগ্রহী ব্যক্তিদের হাসপাতালে সার্বক্ষণিক সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভোলা জেলা ইউনিট । ভয় কাটিয়ে উৎসাহর মধ্যে দিয়ে করোনা ভ্যাকসিন টিকা নিচ্ছেন দ্বীপ জেলা ভোলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণ মানুষ।

টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের কনসেশন ফর্ম (সম্মপ্তিপত্র) পূরণে সহায়তা, টিকা দেয়ার পর বিশ্রামাগারে নেয়াসহ সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা। সরাসরি টিকা প্রদানকারী নার্সদেরকেও সহায়তা করতে দেখা গেছে রেডক্রিসেন্টের সদস্যদের।

টিকা দান কার্যক্রম সু-শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট ভোলা জেলা ইউনিট এর যুব সদস্যরা। শুধু ভোলা সদর হাসপাতাল নয় জেলার ৭ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে একযোগে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভোলা জেলা ইউনিট এর যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জাতীয় সদর দপ্তর থেকে নিদর্শনা আশায় আমরা ভোলা জেলা ইউনিট টিকা কর্মসূচির প্রথম দিন থেকেই কাজ আসছি।

ভোলার ৭ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমাদের যুব সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।যারা টিকা দিচ্ছেন তাদের সবধরনের সহায়তা করছেন আমাদের কর্মীরা।’

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চমদিনে জেলায় টিকা নিলেন ১০৩৭ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৩১৮৮ জন করোনা ভ্যাকসিন এর টিকা নিয়েছেন।

পঞ্চমদিনে করোনার ভ্যাকসিনে টিকা নিলেন ১০৩৭ জন। জেলা ভোলা সদর উপজেলায় ২৮৫ জন, দৌলতখান উপজেলার ১১০ জন, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২৫০ জন, তজুমদ্দিন উপজেলায় ৯৯ জন, লালমোহন উপজেলায় ৯৯ জন, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৫৮ জন ও মনপুরা উপজেলায় ৩৬ জন পঞ্চমদিনে করোনার ভ্যাকসিনে টিকা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন ।

সিভিল সার্জন ডা: সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, যারা ভ্যাকসিন টিকা নিচ্ছেন আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে তাদেরকে ফলোআপ করছি, খোজঁ খবর রাখছি। এখন পর্যন্ত কারও কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। ভ্যাকসিন নিয়ে সবাই সুস্থ রয়েছেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত টিকা প্রদান চলবে। আমাদের পাশাপাশি বাংলাদেশে রেডক্রিসেন্ট ভোলা জেলা ইউনিট এর যুব সদস্যরাও কাজ করছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সোসাইটির প্রায় ১৫ হাজার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক এই কার্যক্রমে যুক্ত আছেন।