ভোলায় দুই ছিনতাইকারী পুলিশের হাতে আটক

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২১

 

মোঃ সোহেল,ভোলা
ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়ন থেকে ছিনতাই মামলার দুই আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ জুন) বিকালে উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের দড়িরাম শংকর এলাকার শাপলা বাজার থেকে মোঃ জাফর (২৯) ও মোঃ পারভেজ (২৭)কে আটক করা হয়।
ভোলা থানা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের দড়িরাম শংকর ৭ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃ শহিদের ছেলে আঃ রহমান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গত ৬ জুন রাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ব্যবসায়ী আঃ রহমান ওই ইউনিয়নের মিজান মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় গেলে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা মোঃ শফিক মাঝির ছেলে মোঃ সোহাগসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন তার গতিরোধ করে। এসময় সোহাগ ও তার সঙ্গীরা আঃ রহমানকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। ছিনতাইকারী সোহাগ ও তার সঙ্গীরা ব্যবসায়ী আঃ রহমানের সাথে থাকা একটি দামি নোকিয়া মোবাইল, এফজেড মটরসাইকেল ও নগদ তিন লক্ষ চুরাশি হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের হামলায় আঃ রহমান অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। কিছুক্ষণ পর ব্যবসায়ী আঃ রহমানের জ্ঞান ফিরলে সে দৌঁড়ে মিজান মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে ডাকচিৎকার দিলে লোকজন এসে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে আঃ রহমান বাদী হয়ে ভোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামী ধনিয়া দড়িরাম শংকর পন্ডিত বাড়ির মোঃ সিরাজ পন্ডিতের ছেলে মোঃ জাফর (২৯) ও মোঃ পারভেজ (২৭)কে আটক করে পুলিশ। এসআই রুবেল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার বিকালে ধনিয়ার শাপলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আঃ রহমান বলেন, ছিনতাইকারী সোহাগসহ ৪/৫জন রাতের আধারে আমার উপর হামলা করে মোবাইল, মটরসাইকেল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মটরসাইকেলসহ জাফর ও পারভেজ লতিফ পন্ডিতের ঘরে আশ্রয় নেয়। লতিফ পন্ডিত যাতে বিষয়টি আমাদেরকে না জানায় সে জন্য তাকে হুমকি দেয় জাফর ও পারভেজসহ অন্যরা। বিষয়টি আমি জানতে পেরে পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ গিয়ে তাদের দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, ধনিয়ার একটি ছিনতাই মামলায় জাফর ও পারভেজকে সন্দেহজনক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।