ইলিশায় ঝুকিপুর্ণ ব্রিজের উপর দিয়ে চলছে যানবাহন ও পথচারী

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২১

 

ইকবাল হোসেন রাজু,

ভোলা সদর উপজেলার পৃর্ব ইলিশা ইউনিয়নের জংশন হইতে গুরুত্বপূর্ণ ঘন বসতি এলাকার চরআনন্দ রৌদ্রের হাট ক্লোজার সড়কের উপর নির্মিত পন্ডিতের খালের উপরের ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে প্রায় এক বছর ধরে।প্রয় ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ পার হয়। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে ব্রিজটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদরের পৃর্ব ইলিশা ইউনিয়নের পন্ডিতের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি গত এক বছর বেহাল দশা। ঝুকিপুর্ন এই ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়াই কর্তৃপক্ষের নিকট সময়ের দাবি স্থথানীয়দের । প্রায় ছয় মাস আগে ব্রিজটি নিজ উদ্যেগে সংস্কার করে চলাচলের ব্যাবস্থা করেন হাসনাইন আহাম্মেদ হাসান চেয়ারম্যান সহ আনোয়ার হোসেন ছোট।
ভোলা শহর থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরে প্রায় ২৮ বছর আগে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

বর্তমান ঝুকিপুর্ণ ব্রিজটির প্রসস্থ কম থাকায় শুরু থেকেই বড় ধরনের কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। এতে আশপাশের গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত শস্য ছোট ছোট ট্রলি, টেম্পো কিংবা রিকশা-ভ্যানে করে হাটবাজারে নিতে হতো। এখন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজটির কোন প্রান্তেই জুলানো নেই ‘সাবধান! ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ’ লেখাসংবলিত সাইনবোর্ড,তবে ব্রিজ দেখলেই মনে হয় এযেন এক মরণ ফাঁদ। ব্রিজটির স্তম্ভসহ বিভিন্ন অংশ ক্ষয় হয়ে ভেতরের রড বেরিয়ে গেছে। এরপরও ব্রিজটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন ও এলাকাবাসী চলাচল করছে। যে কোন যানবাহন উঠলেই ব্রিজটি কেঁপে ওঠে।

পৃর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ বলেন, পার্শ্ববর্তী রাজাপুর ইউনিয়ন সহ অন্তত প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এসব গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের বিষয়টি ইউনিয়নবাসীর দাবি। এ নিয়ে উপজেলায় একাধিক মাসিক উন্নয়ন সভায় আলোচনা করা হয়েছে,এবং ত্রানের ব্রিজ কালভার্ট নির্মান প্রকল্পের তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে ব্রিজটির ক্ষুদ্র মেরামত করে সাধারণের চলাচলের ব্যাবস্থা করেছি। এ ব্রিজটির জন্য স্টিমিট করেছি তবে নতুন অর্থবছরে নতুন বরাদ্দ করে খুব শিগ্রই নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণকাজের ব্যাবস্থা করা হবে।’