শ্বশুরকে পিটিয়ে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে অপহরণ!

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২১

 

হাছিব ইশতিয়াক, দৌলতখান, ভোলা

ভোলার দৌলতখানে দশম শ্রেণীপড়ুয়া সাবেক কিশোরী স্ত্রীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে চার-পাঁচজনে ছাত্রীর বাবাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে বাবার হাত থেকে ছাত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফারুক সিকদারের বাড়ির সামনে।
এ ব্যাপারে অপহৃতার পিতা একই ওয়ার্ডের মো. সামসুদ্দিন বাদী হয়ে অপহরণকারী পাবেল, পাবেলের পিতা মো. ফারুক, চাচা মো. রুবেল ও জুয়েলকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অপহৃতার পিতা সামসুদ্দিন বলেন, আমার মেয়ে নুরমিয়ার হাট সংলগ্ন হালিমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মিতু বেগমের সঙ্গে সাত মাস আগে একই ওয়ার্ডের ফারুক সিকদারের ছেলে মো. পাবেলের আমাদের অজান্তে নোটারি পাবলিক করে বিয়ে হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই পাবেল আমাদের কাছে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে।

যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে তিন মাস আগে মিতু তার স্বামী পাবেলকে তালাক দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে আমার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে পাবেলদের বাড়ির সামনে এলে সেখানে আগে থেকে লাঠিসোটা নিয়ে ওতপেতে থাকা পাবেল, তার বাবা ফারুক সিকদার, চাচা রুবেল ও জুয়েল আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে আমার মেয়ে মিতুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

তারা এখন আমার মেয়েকে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রেখেছে। এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত পাবেলকে খোঁজ করে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পাবেলের পিতা মো. ফারুক সিকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিতু আমার ছেলে পাবেলের স্ত্রী। মিতু স্বেচ্ছায় তার স্বামীর সঙ্গেই আছে।

এ ব্যাপারে থানার ওসি বজলার রহমান জানান, উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।