অধিক দামে কিনছেনা গরু , স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে অনেক ক্ষুদ্র খামারী ও বিক্রেতার

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২১

 

মোঃ ইসমাইল, বিশেষ প্রতিনিধি

প্রতিবছরের মতো ভোলার বিভিন্ন এলাকায় এবারো কোরবানীর গরুর ও ছাগলের হাট চলছে, আজকে তার শেষ দিন।

আগামী ২১ জুলাই (বুধবার) মুসলমানদের প্রধান ২ টি বড় উৎসবের মধ্যে ঈদ-উল-আযহা তার মধ্যে একটি। আর এ ঈদ কে কেন্দ্র টানা এক বছর অপেক্ষায় থাকতে হয় গরু ও ছাগল খামারীদের। ঈদ-উল-আযহাকে উপলক্ষ করে লকডাউন শিথিল হওয়ায় গরুর হটে গরু উঠলেও তার সংখ্যা কম কাঙ্খিত মূল্যে গুরু ছাগল কিনতে পাড়ছেনা ক্রেতারা আশানুরূপ মূনাফা পাচ্ছেনা গরু হাট সংশ্লিষ্টরা সহ বিক্রেতারা।

এবার লকডাউনের বাহিরের গরু এলাকায় প্রবেশ না করার ফলে বাজারে গরুর মূল্য বেশী ক্রেতারা বাজারে আসে গরু কিনতে, শেষ হাট হওয়াতে অধিক দামে গরু কিনতে বাধ্য হয়। কিছু হাটের গরুর মূল্য কম হলেও কিছু হাটে গরুর মূল্য বেশী জানায় বিক্রেতারা।

সরজমিনে গেলে গরু খামারী সফিক জানায়, প্রতি ঈদের হাটে ২০টা গরু উঠাই এবার প্রতিবারের মতো ২০ টা গরু উঠালেও আজকে হাটের শেষ দিন এখনো প্রর্যন্ত ৪ টা গরু বিক্রয় করতে পাড়িনাই। অথচ প্রতি বছর ঈদ বাজারের প্রথম বা দ্বিতীয় হাটে বিক্রয় হয়ে যায় ২০ টি গরু। জানিনা, এ ক্ষতি কিভাবে সামলাবো।

গরু বিক্রেতা সালাম জানায়, প্রতিবার বাহির থেকে গরু এ হাটে আসে। এতে আমরা আমাদের স্থানীয় বা দেশী গরুর সঠিক দাম পাইনা। এবার বাহির থেকে কোন গরু এলাকায় আসতে পাড়েনি। আমাদের এই জন্য অনেক উপকার হয়। অনেক বছর পর এবার গরু সঠিক দামে বিক্রয় করতে পাড়ি। বাহিরের গরু এলাকায় ঢুকলে হয়তোবা তা পাড়তামনা।

গরু কিনতে এসে কামাল হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান, তিনি আরো বলেন, গরু যুদিও পছন্দ হয় দাম অনেক বেশী। তবুও কোরবানি দিতে হবে। তাই বাধ্য হলে হলেও গরু কিনতে হবে। আজকে ঈদের গরু হাটের শেষ হাট।

স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যপারে তৎপর হাট কতৃপক্ষ ও প্রশাসন। তবে মেনে চলছেনা সাধারণ জনগন। স্বাস্থ্য বিধির সম্পর্কে হাট কতৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা জানান, তারা জনগনকে মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতন করেন পাশাপাশি মাস্ক বিতরন করেন। স্থানীয় গ্রামপুলিশ এর মাধ্যমে হাটের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে।

আরো জানায়, করোনা ভাইরাসে কারণে, গত বছর হাটের চালান উঠাতে পাড়িনাই। আজকে শেষ দিন মাত্র আর ঘন্টা দু এক সময় হাট শেষ হোতে। এবারো মনে হয় ক্ষতির সম্মুখীন হবো। হাটের যে যা খাজনা দিচ্ছে আমরা নিচ্ছি, কোন প্রকার জোর জুলুমও করছিনা।

এসময় আরো জানায়, হাট সংশ্লিষ্ট ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে, আমাদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে যেনো যথা সম্ভব আমাদের সহায়তা প্রদান করেন।

করোনা নামক মহামারির ফলে দেশের মানুষের বর্তমানে আর্থিক সংকট, অনেকেই কিনতে পাড়ছেনা অধিক দামের গরু, গরু বিক্রি না হওয়াতে স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে অনেক ক্ষুদ্র খামারী ও বিক্রেতার।

অপরদিকে, ঈদকে সামনে নিয়ে টানা কয়দিন ব্যস্ততায় কামার পল্লী, তারা কোরবানীর গরু কাটার নানা সারন্জাম তৈরিতে ব্যস্ত। এবারের গরু হট মন্দা থাকায় তারাও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ।