তদন্ত কমিটি শাবিপ্রবির ঘটনায়

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৩:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধিঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সোমবার সন্ধ্যায় টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সোমবার সন্ধ্যায় টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদারকে কমিটির প্রধান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রবিবারের ঘটনা খতিয়ে দেখতে এই কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবাসিক হলের সমস্যা নিরসনের দাবিতে ছাত্রীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলার ঘটনার পর শিক্ষা কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হল না ছেড়ে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।

ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টরসহ প্রশাসনকে বয়কট ও পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।

এর আগে, রবিবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ভবনের তিন তলার ৩৩৩ নম্বর কক্ষে কিছু কর্মকর্তা ও শিক্ষকসহ তিনি অবস্থান করেন। বিকাল ৪টায় আইআইসিটি ভবনের সামনে উপাচার্যকে মুক্ত করতে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ সময় ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

সন্ধ্যায় লাঠিপেটার পাশাপাশি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে ভিসিকে উদ্ধার করে বাংলোতে পৌঁছে দেন। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ১২টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন।