মামলার রায় ৩১ জানুয়ারি,মেজর সিনহা হত্যা

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রায় আগামী ৩১ জানুয়ারি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈল এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের এই তারিখ ঠিক করেন বলে জানান আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম।

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি ওসি প্রদীপের আইনজীবীর অসমাপ্ত যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে চতুর্থ দিনের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে বিচারিক কার্যক্রমের যুক্তি-তর্ক পর্বের তৃতীয় দিনে প্রধান আসামি লিয়াকত আলীর আইনজীবীর পর ওসি প্রদীপের আইনজীবী আসামির স্বপক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করলেও আদালতের কার্যদিবসের নির্ধারিত সময়ে তা অসমাপ্ত ছিল।

পিপি ফরিদুল বলেন, বুধবার সকালে যুক্তি-তর্ক পর্বের শেষ দিনে সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের আইনজীবী রানা দাশগুপ্তের অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আসামিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন করে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।

এর আগে যুক্তি-তর্ক পর্বের প্রথম দিন রোববার ৬ জন আসামির এবং দ্বিতীয় দিন সোমবার ৭ জন আসামির আইনজীবী নিজেদের স্বপক্ষে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। দ্বিতীয় দিনে প্রধান আসামি লিয়াকত আলীর আইনজীবী যুক্তি-তর্ক পর্বে অংশগ্রহণ করলেও বক্তব্য প্রদান অসমাপ্ত ছিল। তৃতীয় দিনে তার (লিয়াকত) আইনজীবীর বক্তব্য শেষ করার পর আসামি ওসি প্রদীপের আইনজীবী যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। কিন্তু আদালতের কার্যদিবসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি।

৮ দফায় গত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৩ জন সাক্ষির মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং তাদের জেরা শেষ হয়েছে।

সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ করেছিল আদালত। একইসঙ্গে ৯ জানুয়ারি থেকে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তি-তর্কের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করে।

পরে ওই বছর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। গত ২৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। পরে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ।