ইউএনও’র বিরুদ্ধে মানবন্ধনের দাওয়াতি লিফলেট বিতরণ
চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ
চরফ্যাশনে নবাগত ইউএনওকে শুভেচ্ছা না জানানোর ঘটনায় উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন আটকে দিয়ে ১ সপ্তাহ নিয়ম করে তার সাথে দেখা করার শাস্তি বাতলে দিয়ে অশ্লীল আচরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে নিন্দার ঝড় শুরু হয়। মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে অপমান করার প্রতিবাদে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেন চরফ্যাশন উপজেলা ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদ।
আগামী সোমবার সকালে মানববন্ধনের পুর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মানববন্ধনে অংশগ্রহন করার জন্য আহব্বান জানিয়ে সাধারন মুসুল্লিদের মাঝে দাওয়াতি লিফলেট বিতরণ করেন উপজেলা ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে লিফলেট বিতরণ বন্ধ রাখেন আলেমরা।
জানাযায়, গত দুই মাস আগে নির্বাহী অফিসার হিসেবে চরফ্যাশন উপজেলায় যোগদান করেন নারী ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি। তার যোগদানের পর তার সাথে দেখা করতে আসেনি চরফ্যাশন মডেল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা। এতে ক্ষুব্দ হন নির্বাহী কর্মকর্তা। গত মঙ্গলবার বেতন তুলতে ইউএনও’র কার্যালয়ে গেলে দেখা না করায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন ও মুয়াজ্জিন হাফেজ আবুল কালামসহ ইসলামি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ইকরাম।
এসময় ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের উদ্দেশ্যে বলেন, দুই মাস হলো এসেছি, কেন দেখা করেননি। বাবা-মা চিনেন না, খালা খালু চিনলে হবে ?। এসময় ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা একাধিকবার তাকে জানান দেখা করতে গিয়ে ভীরের কারণে দেখা করতে পারেননি। এ কথা ইউএনওকে জানালেও তাদের কোন কথা না শুনে উত্তেজিত হয়ে ইউএনও বলেন, ‘দাঁড়িয়ে থাকলেন না কেন, ৪-৫ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন তবুও দেখা না করে যাবেন না। আগামী এক সপ্তাহ নিয়ম করে দেখা করবেন তাহলে বেতন পাবেন। ইউএনও’র এমন নিয়ম বহির্ভূত আচরণে ওই কক্ষে হতভম্ব হয়ে পরেছেন উপস্থিত সকলে।
এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সাংবাদ প্রকাশ হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে অপমান করার প্রতিবাদে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেন চরফ্যাশন উপজেলা ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদ। আগামী সোমবার সকালে মানববন্ধনের পুর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মানববন্ধনে অংশগ্রহন করার জন্য আহব্বান জানিয়ে সাধারণ মুসুল্লিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন উপজেলা ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা।
উপজেলা ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের জানান, স্থানীয় রাজনৈতি ব্যক্তিবর্গ ও ইমাম ও মুয়াজ্জিনদেরকে নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে বিষয়টির একটি সমোঝতা হয়েছে। এর মধ্যেই লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও মডেল মসজিদের খতিব মো. মাওলানা ছালাউদ্দিন জানান, যোগদানের পর তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় না করায় তিনি বেতন আটকে দিয়ে ১ সপ্তাহ দেখা করার শর্তে বেধে দেন। পরে ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিলে তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেস্থতায় সমোঝতা হয়েছে এবং তিনি ঘটনাটি নিয়ে অনুতপ্ত হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথিকে সরকারী মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি, তাই তারা বক্তব্য জানা যায়নি।



